- আজ বৃহস্পতিবার
- ২৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১২ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৩ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৫:৫৭ অপরাহ্ণ
অতিবৃষ্টি হলেও আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকা থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর ওয়ারী এলাকার র্যাংকিন স্ট্রিট সংলগ্ন সড়কের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
শেখ তাপস বলেন, প্রথম বছরে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি। গত বছর আমরা আধা ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি এবং সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পরেও ঢাকায় মাত্র ৯ জায়গা ব্যতীত আর কোথাও পানি জমেনি। এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হলো অতিবৃষ্টি হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যেই যেন ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারি।
বাৎসরিক সূচি অনুযায়ী নিয়মিত খাল, নর্দমা ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করার কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন সহজ হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ওয়াসার কাছ থেকে হস্তান্তর হওয়ার পর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতি বছরই নর্দমা, নালা পরিষ্কার করে আসছি। কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে আজ ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এসেছি। আমরা লক্ষ্য করছি, এ নর্দমাগুলো প্রত্যেক বছরই একদম ভরে যায়। এখানে যেমন বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী পাওয়া যায়, তেমনি বর্জ্যও পাওয়া যায়। আমরা নিয়মিত পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। যার সুফল আমরা গত দুই বছর ঢাকাবাসীকে দিতে পেরেছি। এ নর্দমা, বক্স কালভার্ট ও খালগুলো পরিষ্কার করার কারণে পানি নিষ্কাশন এখন সহজ হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের সহযোগিতা ও সচেতনতা কামনা করে তিনি বলেন, আমাদের নর্দমাগুলোতে কাঠের টুকরো, টাইলস, কমোড, বালিশ, ফুটবল, প্লাস্টিক সামগ্রী থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই, যা পাওয়া যায় না। আমি এলাকাবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার অনুরোধ করবো। দয়া করে আপনারা এসব বস্তু নর্দমায় ফেলবেন না।
এর আগে মেয়র ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজলা খাল, ‘তৃতীয় ঢাকা মেয়র কাপ আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩’-এর ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচ, আদি বুড়িগঙ্গার উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।