• আজ বৃহস্পতিবার
    • ২৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ১২ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ১৩ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

    বাংলাদেশে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৪:৪৭ অপরাহ্ণ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক কিনতে পাওয়া যায় এবং এটা বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়া যাতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না হয় এবং ওষুধটির যথাযথ প্রয়োগ হয় সে হিসেবে এটি দিতে হবে।

    রবিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিওস ইনস্টিটিউট অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্সের বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক টিমোথি ই ওয়ালশ।

    এ সময় বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়েটিকের অপপ্রয়োগ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
    অ্যান্টিবায়েটিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চেষ্টা করছে এই অ্যান্টিবায়োটিক যাতে যত্রতত্র বিক্রি না হয়। আগে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হতো, সেটা এখন বন্ধ করা হয়েছে।

    এ সময় অধ্যাপক টিমোথি ই ওয়ালশ বলেন, বর্তমান বিশ্বে এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স-এএমআর মহামারি আকার ধারণ করেছে। এটা এখনই প্রতিরোধ করা না গেলে আগামীতে আরও ভয়াবহ রূপ নেবে এবং লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটাবে।

    এএমআর বিষয়ক গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করেন অক্সফোর্ডের ওই অধ্যাপক।

    জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, হৃদরোগ, বক্ষব্যাধি, ক্যানসার ও নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের মতো বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ দেশে স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, ওষুধের পাশাপাশি সরকার কৃষি, বেসিক সাইন্স এবং মেডিকেলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণায় বিশেষ জোর দিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি-উপবৃত্তি দেওয়ার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশেষ করে পিএইচডি, পোস্ট ডক্টোরাল এবং গবেষণা ক্ষেত্রে ২শ’টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেলোশিপ দেওয়া হয়।

    সাক্ষাতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপক ইনিওস ইনস্টিটিউট অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্স থেকে বঙ্গবন্ধু আইওআই ফেলোশিপের অধীনে মেডিকেল এবং বেসিক সায়েন্সে গবেষণায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরকে স্কলারশিপ দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

    জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের ফেলোশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে তার সম্মতি দেন।

    এছাড়া ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কোকেসাসের সঙ্গে এএমআর বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অংশীদারিত্বের একটি প্রস্তাবও দেন অধ্যাপক টিমোথি ই ওয়ালশ।

    ওই প্রস্তাবটির বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিবাচক বিবেচনার কথা জানান।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।

    Comments

    comments

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩
    ১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
    ২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
    ২৮২৯৩০