- আজ রবিবার
- ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৫ই মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
| ০৯ মার্চ ২০২২ | ৪:১৩ অপরাহ্ণ
কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১২তম দফার প্রথম পর্বে আরও এক হাজার ৪৩৭ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া ছেড়েছেন। তাদের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ স্কট ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িও রয়েছে।
আজ বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুলিশি পাহারায় ২৬টি বাসে উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওয়ানা হন তারা। এছাড়া বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দ্বিতীয় দফায় আরও সহস্রাধিক রোহিঙ্গা উখিয়া ছাড়তে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এর আগে বুধবার সকালে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার মাধ্যমে উখিয়া কলেজ মাঠে আসেন রোহিঙ্গারা। অনেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও ট্রানজিট পয়েন্টে আসেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. সামছুদ্দৌজা নয়ন জানান, ১২তম দফার প্রথম ধাপে ১ হাজার ৪৩৭ রোহিঙ্গা উখিয়া ছেড়েছেন। আগের নিয়মে তারা বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর জেটিঘাট এলাকায় অবস্থান করবেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের ভাসানচর পৌঁছার কথা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১১তম দফায় ১ হাজার ৬৫৪ জন এবং ৩০ জানুয়ারি দশম দফায় ১ হাজার ২৮৮ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান।
২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ দফায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এছাড়া ২০২০ সালের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
২০১৭ সালের শেষের দিকে মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। রোহিঙ্গাদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।