- আজ বৃহস্পতিবার
- ২৬শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১০ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১২ই মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২৪ এপ্রিল ২০২২ | ২:০৮ অপরাহ্ণ
দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবারের ঈদে ঘরমুখী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ঈদে বড় ছুটি এবং জনজীবন স্বাভাবিক হওয়ার কারণে প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে মানুষ ছুটে যাবে গ্রামে।
ফলে ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে এবার চাপ বৃদ্ধি পাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। তাই কিছু পদক্ষেপ নিলেই ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে বলে ধারণা পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকার পরও কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যে কোটির ওপর মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এবছর এর সংখ্যা কয়েকগুন বাড়তে পারে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল থেকে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত সড়কে কোনো প্রকার সংস্কার বা উন্নয়ন কাজ নেই। তবে সিগন্যাল রয়েছে। ফলে মহাসড়কে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে। শুধুমাত্র সিগন্যালের কারণে হয়তো অল্প সময় বসে থাকতে হতে পারে। ইতোমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
যেসব কারণে ভোগান্তি হতে পারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে
সরেজমিনে মেঘনা টোল প্লাজা থেকে শুরু করে শিমরাইল পর্যন্ত দেখা যায়, এ সড়কে প্রায় ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত কোনো সড়ক ও জনপদের সংস্কার বা উন্নয়ন কাজ নেই। এ ১৬ কিলোমিটার সড়কে কোনো ভাঙাচোরাও নেই।
তবে এ সড়কে ছোট বড় মিলিয়ে ১১টি সিগন্যাল রয়েছে। এর মধ্যে মদনপুর চৌরাস্তা, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ও মেঘনা টোল প্লাজায় বড় ৩টি সিগন্যাল রয়েছে। এসব সিগন্যালে পড়ে দীর্ঘক্ষণ এখনই মানুষকে গাড়িতে বসে থাকতে হয়।
এছাড়াও মেঘনা ও গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে বিলম্ব যানজটের বড় কারণ হতে পারে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেলে দৃশ্যপট আরো পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা।
পরিবহন শ্রমিকদের দাবি, মদনপুর চৌরাস্তা ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় লোকাল বাসের স্ট্যান্ড রয়েছে। এখানে যাত্রী ওঠা-নামা করার করাণে যানজট লেগে থাকে। এ দুটি স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে যানজট থাকবে না।
যেসব কারণে ভোগান্তি হতে পারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে
অপরদিকে মেঘনা টোল প্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতি থাকে। নিরসনে সকল টোল বুথ চালু রাখতে পারলে যানজট থাকবে না বলে মনে করেন তারা। এছাড়া ছোট ছোট যানবাহন সিএনজি, অটোরিকশা, ভ্যান মহাসড়কে চলাচল করতে না দিলেই হয়তো যানজট নাও থাকতে পারে।
হানিফ পরিবহনের চালক বলেন, এ বছর শিমরাইল থেকে টোল প্লাজা পর্যন্ত যানজটের আশংকা করছি না। তবে পুলিশের তৎপরতায় সিগন্যালগুলো ও মহাসড়কে তিন চাকার বাহন সিএনজি, অটোরিকশাসহ ছোট ছোট বাহন সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নবীর হোসেন বলেন, মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত যানজটের তেমন আশংকা নেই। যানজট নিরসনে মহাসড়কের সিগন্যাল ও লোকাল বাসস্ট্যান্ড, তিন চাকার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ও চলাচলে অনুপযোগী গাড়ি চলাচলে বিধি নিষেধ ও বিকল হওয়া গাড়ি দ্রুত সরিয়ে নেওয়া, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নজরদারিসহ বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করি অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ঈদযাত্রা স্বাভাবিক হবে। আমরা ঘরমুখো মানুষের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।