- আজ মঙ্গলবার
- ১৪ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২৯শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১লা সফর ১৪৪৭ হিজরি
| ২২ মে ২০২২ | ৩:৫৫ অপরাহ্ণ
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা, গরমে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নগরবাসী। যথাসময়ে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মস্থলগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (২২ মে) বৃহস্পতিবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকালে তীব্র যানজট থাকলেও, দুপুরে কারওয়ান বাজার, পল্টন, মহাখালী, বনানীসহ বেশ কিছু এলাকায় ছিল গাড়ির জটলা। গাড়ি মাঝে মাঝে একটু গেলেও থেমে থাকছে বহুক্ষণ। যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানো-নামানো তো আছেই।
একটি গাড়ির যাত্রী রাসেল মাহমুদ বলেন, বেলা ১১টায় গুলিস্তান থেকে সদরঘাট সড়কে তীব্র যানজট ছিল। এসময় অনেকে বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। মূল সড়কে গাড়ি পার্কিং, রাস্তায় দোকানের জন্য আনা পণ্য ওঠা-নামাসহ নানা কারণে সড়কে বাসের জটলা বাঁধে।
সকালে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে যানজটে পড়েন মুসা আহমেদ। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ফলে প্রতিদিনই তাকে বাসে চলাফেরা করতে হয়।
এ বিষয়ে মুসা জানান, মহাখালী, কাকলী ও সাতরাস্তায় অফিসের সময় যানজট থাকায় কর্মজীবীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন। এসময় কেউ কেউ বাস থেকে নেমে হেঁটে যান। এছাড়া দুপুরে কাকরাইল মোড়ে জ্যাম থাকে। মতিঝিল অফিস পাড়া এলাকায় দুপুরের পর অসহনীয় মাত্রায় গাড়ির জট লক্ষ্য করা গেছে।
এ সড়কে চলাচলকারী ব্যবসায়ী মাহফুজুল হক বলেন, সকালের দিকে উত্তরা থেকে প্রাইভেটকারে মতিঝিল এলাকায় অফিসে যাওয়ার জন্য রওনা দিলেও সঠিক সময়ের এক ঘণ্টা পর অফিসে এসেছি। দুপুরে সড়কের অবস্থা ভালো ছিল। অফিস শেষে হয়তোবা আবার গাড়ির জট লাগতে পারে।
সরেজমিন দেখা গেছে, দুপুরে মিরপুর সড়কে শ্যামলির পর তীব্র জ্যাম ছিল। ধানমণ্ডি ২৭, সিটি কলেজ এলাকায়ও জ্যাম। স্কুলে ছুটির পর মিরপুর সড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। দুপুরে ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত অসহনীয় পর্যায়ে যানজট ছিল।
সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও দুপুরে মোটামুটি ফাঁকা ছিল। ঈদের ছুটির পর রাজধানীতে অফিসগামী ও সাধারণ মানুষসহ রাস্তায় যাতায়াতকারী যাত্রীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ঢাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে মানুষ। আর এ বাড়তি মানুষের চলাচলের কারণে সড়কগুলোতে এখন তীব্র যানজট দেখা যাচ্ছে।