- আজ বৃহস্পতিবার
- ২৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১২ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৩ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
এ মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আমরা নির্বাচনমুখী দল। এখন কেউ চাচ্ছেন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন, আবার কেউ চাচ্ছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। আমরা (জাপা) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, নির্বাচিতরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে, কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে, তার গ্যারান্টি নেই। ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বক্তব্যে প্রমাণ করেছে ওই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে দলটির কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
জাপা মহাসচিব বলেন, যদি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ ভালো থাকে এবং সরকার যদি চায় তাহলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করতে সরকারকে ভূমিকা নিতে হবে। নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। চট্টগ্রামের একটি আসন শূন্য হয়েছে, আমরা সেই উপ-নির্বাচনে অংশ নেব। জাতীয় পার্টি তিনশ আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে নির্বাচনের আগে পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেব।
জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাপা ঐক্যবদ্ধ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। আজ সকালেও বিরোধীদলীয় নেতা ও পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আজকের যৌথ সভায় এরশাদপুত্র রাহগির আল মাহি ওরফে সাদ এরশাদ অংশ নেন। এছাড়া, বহিস্কৃতদের ব্যাপারে যৌথ সভায় আলোচনা হয়েছে। বহিস্কৃতদের বিষয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন। যারা ক্ষমার অযোগ্য সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা করেছে, তাদের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নাও হতে পারে।
তিনি বলেন, একটি সিভিল মামলার কারণে পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের অনেক দিন ধরে প্রেসিডিয়াম সভা আহ্বান করতে পারেননি। কিছুদিন আগে হাইকোর্ট সেই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করায়, চেয়ারম্যান এখন মুক্ত। তাই একটি যৌথ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
চুন্নু বলেন, আগামী নির্বাচনের আগেই জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করতে পারবো। এর আগে সব জেলা সম্মেলনগুলো সম্পন্ন হবে। প্রত্যেকটি বিভাগে একটি করে বড় সমাবেশ করা হবে। একই সঙ্গে সারাদেশেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে প্রার্থী ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন।
এর আগে জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলহাজ্ব সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন প্রমুখ।