- আজ বৃহস্পতিবার
- ২রা শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৭ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১০ মার্চ ২০২২ | ৩:৫২ অপরাহ্ণ
গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে কেন কার্যক্রম ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
দলটির প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকির করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সিইসি কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে এ আবেদন করা হয়।
তবে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, এর মধ্যে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হয়। পরে নতুন সিইসি নিয়োগ পান। তাই আবেদন সংশোধন করে মামলায় নতুন সিইসিকে বিবাদী করা হয়।
গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে। পরের বছরের ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন একপত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না মর্মে অবহিত করে। পরে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রিট মামলায় উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল মঞ্জুর করেন এবং রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন প্রদানের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনকে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়।
জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকার পরও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনও প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে এই রাজনৈতিক দলের পক্ষে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও ফল না পাওয়ায় গত বছরের ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়। উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আদালত অবমাননার মামলা করা হয়।