- আজ সোমবার
- ১৬ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ৩০শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২রা মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
| ১৮ জুলাই ২০২১ | ১০:২৪ অপরাহ্ণ
ছিলেন পৌরসভার সুইপার। রাস্তাঘাট ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার রাখাই ছিল তার কাজ। সেখান থেকে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়ে গল্পকেও হার মানালেন এক নারী।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশা কান্দারা (৪০) নামে ওই নারী ভারতের রাজস্থানের যোধপুর পৌরসভার সুইপার ছিলেন। ২০১৮ সালে রাজস্থানের সবচেয়ে সম্মানজনক চাকরি রাজস্থান প্রশাসনিক সার্ভিস (আরএএস) পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। ২০২১ সালের ১৩ জুলাই ফল ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আশা যোগ দিয়ে যাচ্ছেন এক জন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে।
দুই সন্তানের মা আশার স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে আট বছর আগে। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় বিচ্ছেদ হয় তার। এরপর থেকে সন্তানদের একাই বড়ো করে তোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পাশাপাশি চালিয়ে যান নিজেকে গড়ে তোলার লড়াই।
এ ব্যাপারে আশা বলেন, আমাকে বিয়ে ভেঙে যাওয়া থেকে শুরু করে বর্ণ বৈষম্য, লিঙ্গ বৈষম্যসহ অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে আমি কখনো নিজেকে দুঃখের সাগরে ভেসে যেতে দিইনি।
বিচ্ছেদের পর বাবার বাড়িতে চলে এসেছিলেন আশা। তার বাবা ছিলেন যোধপুর যোধপুর পৌরসভার কর্মী। আশা সব সময় অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।
২০১৮ সালে যোধপুর পৌরসভার সুইপার পদে পরীক্ষা দেন তিনি। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগ দেন সুইপার হিসেবে। সুইপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আরএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন তিনি।
২০১৮ সালেই আরএএস পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন আশা। এতে তার উৎসাহ বেড়ে যায়, যা তাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে উত্তীর্ণ হওয়া অবধি টেনে নিয়ে যায়।