- আজ বৃহস্পতিবার
- ২রা শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৭ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৬:৩৪ অপরাহ্ণ
শিক্ষার্থীদের হিজাব পরায় বিধিনিষেধ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিন ধরেই সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে হিজাব বিতর্ক নিয়ে যে মামলা চলছে সেখানে মুসলিম শিক্ষার্থীদের আইনজীবীর পাশে দাঁড়িয়েছে রামকৃষ্ণ আশ্রম। এনটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজ্যের কারওয়ার জেলার রামকৃষ্ণ আশ্রম বলছে, হিজাব নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তা অপ্রয়োজনীয়। তাছাড়া এমন ঘটনা শান্তি ও সম্প্রীতির পরিপন্থি। নির্যাতিত মুসলিম শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করা আইনজীবীকে রক্ষায় কাজ করবে বলেও আশ্রমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর আগে ওই আইনজীবী হামলার শিকার হন।
রামকৃষ্ণ আশ্রমের প্রধান পুরোহিত স্বামী ভাবেশানন্দ এক বিবৃতিতে জনান, ওই আইনজীবীর নাম দেবদত্ত কামাত। শিক্ষার্থীদের হিজাব পরার অধিকারের কথা তুলে ধরতে কোরআন থেকে আয়াত উদ্ধৃতি করায় ডানপন্থিদের আক্রমণের শিকার হন তিনি। কিন্তু এর মাধ্যমে ওই আইনজীবী হিন্দু ধর্মের কোনো ক্ষতি করেনি বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
স্বামী ভাবেশানন্দ বলেন, স্কুল-কলেজে মুসলিম মেয়েদের পোশাক নিয়ে একটি অপ্রয়োজনীয় আলোচনা চলছে। এ ধরনের বিতর্ক তৈরি হওয়ায় আমি বেদনা অনুভব করছি। এটি নিশ্চিতভাবেই ভালো কিছু বয়ে আনবে না কারণ এগুলো শান্তি-সম্প্রীতির পরিপন্থি।
স্বামী ভবেশানন্দ আরও বলেন, কেউ কেউ তাকে হিন্দুধর্মের বিরোধী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এ ধারণা একেবারেই অবাঞ্ছিত ও ভিত্তিহীন। আদালতে একজন আইনজীবী তার মক্কেলের ন্যায়বিচার পেতে কাজ করেন। এটা পেশাদার কাজ ও দায়িত্ব। এটাকে হিন্দুধর্মের বিরোধী অবস্থান হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না।
আইনজীবী দেবদত্ত কামাত ওই দিন আদালতকে বলেন, হিজাব মুসলিমদের সংস্কৃতির অংশ, যাকে প্রভাবিত করা যায় না। আমাদের মৌলিক অধিকার এখন কলেজ উন্নয়ন কমিটির কাছে জিম্মি।