- আজ বৃহস্পতিবার
- ১৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২৯শে মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২৮শে জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২৬ মে ২০২৫ | ৫:০৬ অপরাহ্ণ
গণঅভ্যুত্থানে চোখ হারানো চারজন রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিষপান করেছেন। তাদের চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিষপান করা চারজন হলেন- শিমুল, মারুফ, সাগর ও আখতার হোসেন (তাহের)। বিষপানের পর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
রোববার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সংশ্লিষ্টদের খোঁজখবর নিতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের মাধ্যমে তাদের এই চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে। আহত চারজন এবং তাদের পরিবারের প্রতি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সহসম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন ও ড্যাবের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব ডা. আ.ন.ম মনোয়ারুল কাদির বিটু, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, কেন্দ্রীয় ড্যাব নেতা ডা. মঞ্জুরুল আজিজ ইমন, ছাত্রদলের সাবেক সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. এম আর হাসান, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদল সভাপতি ডা. তাওহীদুল ইসলাম সৈকত, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ইমরান হোসেন, ছাত্রনেতা শিহাব, সিফাত এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে চোখ হারানো চার যোদ্ধা রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিষপান করার বিষয়টিকে ‘কঠিন মনস্তাত্ত্বিক ধাক্কা’ হিসেবেই দেখছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশন বলছে, দীর্ঘদিনের অবহেলা, হতাশা ও একাকিত্বের চাপে পড়ে এই যোদ্ধারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা, সামাজিক অবহেলা ও নিরাপত্তাহীনতার জেরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন চারজন জুলাই যোদ্ধা।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জুলাই ফাউন্ডেশন এসব তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে ফাউন্ডেশনটির সিইও লে. কর্নেল (অব.) কামাল আকবার জানান, আত্মহত্যার চেষ্টা করা যোদ্ধাদের মধ্যে একজন কিছুদিন আগেই বিদেশে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। যোদ্ধাদের এমন সিদ্ধান্ত শুধু তাদের ব্যক্তিগত দুর্বলতা নয়—বরং এটি একটি সামাজিক ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ।