- আজ রবিবার
- ৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২৪ মার্চ ২০২২ | ৫:২২ অপরাহ্ণ
করোনাভাইরাসের সুরক্ষাজনিত কারণে আরও একবার ‘হোম-অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে ছাড়াই খেলা হবে আইপিএল। যে কারণে নিজেদের ঘরের মাঠের সুবিধা পাবে না কোনো দল। নির্দিষ্ট চারটি মাঠে হবে আসরের প্রথম রাউন্ডের ৭০টি ম্যাচ।
সবগুলো ম্যাচ হবে মুম্বাই ও পুনের চারটি স্টেডিয়ামে। মুম্বাইয়ের তিন স্টেডিয়াম ওয়াংখেড়ে, ডিওয়াই পাতিল ও ব্রাবোর্নে হবে প্রথম রাউন্ডের ৭০ ম্যাচ। পুনের এমসিএ মাঠে হবে ১৫টি।
প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দল ওয়াংখেড়ে এবং ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে খেলবে চারটি করে ম্যাচ। এছাড়া ব্রাবোর্ন ও এমসিএ স্টেডিয়ামে খেলবে তিনটি করে ম্যাচ।
এই ফরম্যাটের আইপিএলকে নিরপেক্ষ টুর্নামেন্ট মানছেন সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে। কেননা কোনো দলই নিজেদের হোম অ্যাডভান্টেজ নিতে পারবে না।
আসর শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে জয়াবর্ধনে বলেছেন, ‘আমাদের এটিকে নিরপেক্ষ টুর্নামেন্ট হিসেবে ধরতে হবে, সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে এবং সবসময় জয়ের কথাই ভাবতে হবে। টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে হবে।’
সরাসরি হোম অ্যাডভান্টেজ না পেলেও, নিজেদের ১৪ ম্যাচের ১১টিই মুম্বাইয়ের তিন মাঠে খেলতে পারবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে নিজ শহরে খেলার বিষয়টি বাড়তি কোনো সুবিধা দেবে না বলে মনে করেন অধিনায়ক রোহিত।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এই দলটি নতুন, অনেক নতুন খেলোয়াড় এসেছে। প্রায় ৭০-৮০ ভাগ খেলোয়াড় আগে মুম্বাইয়ে খেলেনি। শুধু আমি, সুর্যকুমার যাদব, কাইরন পোলার্ড, ইশান কিশান ও জাসপ্রিত বুমরাহ মুম্বাইয়ের মাঠে খেলেছি আগে। বাকিরা তেমন খেলেনি।’
প্রায় দুই বছর পর মুম্বাইয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এ বিষয়ে রোহিত বলেন, ‘আমাদের বাড়তি কোনো সুবিধা নেই। প্রায় দুই বছর পর মুম্বাইয়ে খেলতে পারব আমরা। গত বছর অন্য দলগুলো মুম্বাইয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে, আমরা তা পাইনি।’
জয়াবর্ধনে বলেন, ‘আমার তো মনেও নেই শেষ কবে মুম্বাইয়ে খেলেছি! প্রায় আড়াই-তিন বছর হবে। অন্য দলগুলো এখানে অনেক খেলেছে। সেসব দল থেকে কয়েকজন খেলোয়াড় এসেছে আমাদের দলে। এটি হয়তো খানিক সুবিধা দিতে পারে।’