- আজ রবিবার
- ১লা আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৫ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৭ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ | ১:৩২ অপরাহ্ণ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্থাবর কোনো সম্পত্তি নেই উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন করেছেন, তাহলে বাজেয়াপ্ত করবে কী?
তিনি বলেন, সারা দেশই ক্রোক হয়ে গেছে, তারেক-জোবায়দার (সম্পত্তি) ক্রোকে আর কী আসে যায়? মূলত ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনা দেশে বিরাজনীতিকরণের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই মিথ্যাচার।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলের পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের (বাজেয়াপ্তের) আদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার তারেক রহমানের নেতৃত্বকে ভয় পায় মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, এই সরকার লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে শুন্য করেছে। আর এখন তারেক রহমানের প্রতি তাদের রাগ। কারণ, তিনি দেশে না থেকেও দেশবাসীকে জাগ্রত করেছেন। তার নেতৃত্বে এই গণজাগরণে সরকার এখন আতংকিত।
তিনি বলেন, এই সরকারের মন্ত্রী বা এমপিরা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কত টাকা লুট করেছে তার সবকিছুই বেরিয়ে আসবে। তখন কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বোরখা পরে রাস্তায় নামতে পারবেন না।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা আরও বলেন, কাচের ঘরে বাস করে অন্যের ভবনে ঢিল মারা বন্ধ করুন। নাহলে ভবিষ্যতে দিশা পাবেন না, কোথায় যাবেন? আজকে চাকরির ভয় দেখিয়ে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে সরকারকে পতন ঘটাতে হবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। এ সময় সবাইকে বিএনপির আন্দোলনে শরিক হওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা লিটন মাহমুদ, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, যুবদলের গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রদল, যুবদল এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।