• আজ বুধবার
    • ১০ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ২৩শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ২২শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি

    আগামীকাল কুয়েতে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন

    আগামীকাল কুয়েতে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৫ জুন ২০২৩ | ৭:৫৭ অপরাহ্ণ

    গত মাসে পার্লামেন্ট বিলুপ্তের পর ফের নির্বাচন হতে যাচ্ছে কুয়েতে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার (০৬ জুন) নির্বাচন হবে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটিতে।

    গত ১০ বছরে এই নিয়ে ৭ম বারের মতো পার্লামেন্ট নির্বাচন হচ্ছে কুয়েতে। মূলত রাষ্ট্রপ্রধান বা আমিরের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই বার বার ভেঙে যাচ্ছে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ এই দেশটির আইনসভা।

    পার্লামেন্টের অস্থিতিশীলতার কারণে দেশটির মানুষের মধ্যে হতাশা ও বিরক্তিও বাড়ছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে— অধিকাংশ নাগরিক ভোট দিতে না ও আসতে পারেন। জনগণকে ভোট দানে উৎসাহিত করতে রাজধানী কুয়েত সিটিসহ দেশজুড়ে বড় বড় ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। সেসব ব্যনার-ফেস্টুনে বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে নাগরিকদের ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কুয়েতের আয়তন মাত্র ১৭ হাজার ৮১৪ বর্গকিলোমিটার। দেশটির জনসংখ্যা ৪২ লাখের কিছু বেশি। ১৯৬২ সালে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে কুয়েতে নির্বাচনভিত্তিক পার্লামেন্টারি শাসন ব্যবস্থা চালু হয়।

    কুয়েতের পার্লামেন্টে মোট আসন সংখ্যা ৭৬টি। এসব আসনের মধ্যে ৫০টি নির্বাচিত এমপিদের জন্য, বাকি ১৬টি আসনের এমপিরা নিয়োগ পান আমিরের সুপারিশে।

    ২০২০ সালের নির্বাচনের পর থেকে দেশটির পার্লামেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় নির্বাহী বিভাগ তথা আমিরের। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজেদের অংশগ্রহণের পরিধি আরও বিস্তৃত করতে চান পার্লামেন্ট সদস্যরা, তা থেকেই সূত্রপাত এই দ্বন্দ্বের।

    নির্বাচনভিত্তিক পার্লামেন্টারি ব্যবস্থা থাকলেও কুয়েতের রাজনীতি মূলত নিয়ন্ত্রণ করে আল-সবাহ পরিবার। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোও এই পরিবারের সদস্যদের জন্যই বরাদ্দ থাকে। মূলত কুয়েতের যাবতীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মূল কারণ এটাই।

    সরকার-পার্লামেন্ট দ্বন্দ্ব এড়াতে কুয়েতের আমির বা শাসনতান্ত্রিক প্রধান শেখ নাওয়াফ আল আহমেদ আল-সাবাহ ২০২১ সালে নিজের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ মেশাল আল আহমেদ আল-সাবাহকে দেশের ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করে রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত অধিকাংশ দায়িত্ব তার ওপর অর্পণ করেন। তবে তা সত্ত্বেও পার্লামেন্ট ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে সম্পর্কে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।

    এই পরিস্থিতিতে ২০২২ সালে কুয়েতের স্পিকার মারজুক আল ঘানিম পার্লামেন্টের বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। সেপ্টেম্বরে সেখানে একটি জাতীয় নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান পার্লামেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে অবস্থান নেওয়া এমপিরা। তবে কুয়েতের সাংবিধানিক আদালত সেই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পূর্বের পার্লামেন্টই বহাল রাখে।

    কুয়েতে পার্লামেন্টারি ব্যবস্থা প্রচলিত থাকলেও দেশটিতে কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই। দেশটির সংবিধানে রাজনৈতিক দল গঠন নিষিদ্ধ রয়েছে। যারা সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী হন, তাদের প্রায় সবাই দেশটির অভিজাত সম্প্রদায়ের; যাদের একটি অংশ আবার আমিরবিরোধী।

    কুয়েতের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ও রাজনীতি বিশ্লেষক শেইখা আল জাসেম বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে জাতি আজ গভীর হতাশায় আক্রান্ত। আমাদেরকে অবশ্যই এই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১
    ১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
    ১৯২০২১২২২৩২৪২৫
    ২৬২৭২৮২৯৩০