- আজ শুক্রবার
- ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৬ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৫ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ | ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
.আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেও ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের দু’টি লকারের পাসওয়ার্ড পরিচালনা বোর্ডকে সরবরাহ না করায় সেগুলো আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভাঙা হয়। এরপর সেখানে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের চেক পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার দুপুরে ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে থাকা দু’টি লকার ভাঙার সময়ে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।
লকার ভাঙার পরে আদালতের নির্দেশে গঠিত পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আমরা খুবই হতাশ হয়েছে। আমাদের আশা ছিল এই লকারগুলোতে ইভ্যালির কিছু টাকা-পয়সা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এখানে কিছু দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া যাবে। কিন্তু এখানে শুধু কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের চেক বই পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে আমরা হতাশ।
ইভ্যালি নিয়ে পরিচালনা বোর্ডের পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা প্রথমে অডিট করে করব। এরপর ইভ্যালির ব্যাপারে পরিচালনা বোর্ড একটি সিদ্ধান্তে আসবে। এছাড়াও ইভ্যালির নামে থাকা গাড়ীগুলো নিলামে তোলা হবেও বলে জানান বিচারপতি মানিক।
এর আগে গত বছরের ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ জন্য আদালতের নিযুক্ত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে কারাগারে এ দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতে আইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে পরিচালনা বোর্ড লকার দু’টির ‘কম্বিনেশন নম্বর’ পায়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালনা বোর্ড আজ লকারগুলো ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকারগুলো ভাঙে।
প্রসঙ্গত, অগ্রিম টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করার দায়ে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।