• আজ সোমবার
    • ৮ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ২১শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ২০শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি

    উইকেটের বেহাল দশার দায় নিলো বিসিবি

    উইকেটের বেহাল দশার দায় নিলো বিসিবি

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৯ মে ২০২২ | ৩:১৩ অপরাহ্ণ

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট এক অমীমাংসিত রহস্য দেশের সকল ক্রিকেটারের জন্য। দেশের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও বলেছেন, মিরপুরের উইকেট আনপ্রেডিক্টেবল। এই উইকেটের ব্যাপারে কিছু বলা সম্ভব নয়।

    গতবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ধীরগতির নিচু স্পিনিং উইকেট বানিয়ে সিরিজ জিতে বিশ্ব ক্রিকেটে প্রশংসার বদলে উল্টো সমালোচনাই বেশি শুনতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। কেউ কেউ তো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবির কারণও বলেছেন সেই দুই সিরিজের বাজে উইকেটকে।

    সবমিলিয়ে গত বেশ কয়েকবছর ধরেই মিরপুরের উইকেট নিয়ে অসন্তোষ চরমে। তবু কোনোভাবেই যেনো বদলানো যাচ্ছে না দেশের হোম অব ক্রিকেটের উইকেট। এমতাবস্থায় সবার আগে দায়টা চলে যায় প্রধান পিচ কিউরেটর গামিনি সিলভার কাঁধে।

    তবে তাকে দায় দিতে রাজি নন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। নিজের অধীনস্থ কর্মীকে দায়মুক্ত রেখে উইকেটের বেহাল দশার পেছনে সকল দায় নিজ ও বিসিবির কাঁধে নিয়েছেন বোর্ডের অন্যতম সিনিয়র পরিচালক।

    তার মতে, মিরপুর ও সারা দেশে অনেক বেশি খেলা হয়। যে কারণে উইকেট চাইলে বেশি দিন ভালো রাখা যায় না। মিরপুরে বছরে ৬০ দিন খেলা আদর্শ হলেও, প্রথম চার মাসে প্রায় সবদিনই খেলতে হয় বিধায় উইকেটের অবস্থা ভালো থাকে বলে জানালেন তিনি।

    রবিবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমে মাহবুব আনাম বলেছেন, ‘বছরে সবমিলিয়ে সারাদেশে প্রায় ৩৫০০ দিন খেলা হয়। মিরপুরের মতো একটা স্টেডিয়ামে আমাদের ৬০ দিনের বেশি খেলা উচিত না। সেখানে জানুয়ারি থেকে শুরু করে টানা ১২০ দিন খেলেছি আমরা। এখানে স্বয়ং বিধাতা এসেও আমার মনে হয় না কোনো কিছু করা সম্ভব।’

    এর দায় নিজের কাঁধে নিয়ে তিনি বলেন, ‘দায়টা আমি নেবো। বোর্ড হিসেবে আমাদেরই নেওয়া উচিত। কারণ বোর্ড যেভাবে পরিচালিত হয়েছে এই চার মাসে, যেটা আমি বললাম। আপনারা কাউকে যদি ব্যক্তিগতভাবে আক্রোশ করেন সেটা অন্যায় হবে।’

    এসময় উইকেট বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় মাটি এবং অন্যান্য কাঁচামালের দুষ্প্রাপ্যতার কথা জানিয়ে মাহবুব আনাম আরও বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হলো, আমাদের দেশে উইকেট বানাতে যে ক্লে দরকার, সেই ক্লে’তে যে এডহেসিভ কন্টেন্ট থাকা দরকার সেটা সব জায়গায় পাওয়া যায় না।’

    তিনি আরও যোগ করেন, ‘আপনারা যদি দেখে থাকেন মিরপুরে উইকেটটা ব্ল্যাক (কালো) ক্লে দিয়ে বানানো। এই উইকেটটা আমরা পার্থের কিউরেটরকে দিয়ে বানিয়েছিলাম। বগুড়ার উইকেটটা আরও ব্রাউন ক্লে, চট্টগ্রামেরটা আরও বেশি এঁটেল মাটি। এখানে মাটি কাটাটাও ডিফিকাল্ট। এটা আমরা বছরের মাসখানেক সময় পাই তাও নদীর নিচে। তাই এটা পাওয়াও দুস্কর অবস্থায় থাকে। এই জিনিসগুলোতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা ভালো সয়েল পাওয়ার খোঁজ করছি।’

    Comments

    comments

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১
    ১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
    ১৯২০২১২২২৩২৪২৫
    ২৬২৭২৮২৯৩০