• আজ মঙ্গলবার
    • ৩রা আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ১৭ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ১৯শে জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

    এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডেঙ্গুতে ২ সন্তানকে হারালেন বাবা-মা

    এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডেঙ্গুতে ২ সন্তানকে হারালেন বাবা-মা

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ৩১ আগস্ট ২০২৩ | ১:৫৬ অপরাহ্ণ

    পাইকপাড়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ তাদের মা-বাবা।

    নিহতরা হলেন আরাফাত (৯) এবং রাইদা (৬)। আরাফাত একটি স্কুলে কেজি এবং রাইদা নার্সারিতে পড়ত। তাদেরকে সাভারের হেমায়েতপুরে দাফন করা হয়। মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও রাবেয়া আক্তার দম্পতি জানান, গত ১৪ আগস্ট আরাফাতের হালকা জ্বর আসে। ১৬ আগস্ট পরীক্ষা করালে তার ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। প্লাটিলেট ভালো থাকায় হাসপাতালে না নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু পরের দিন প্লাটিলেট দ্রুত কমতে থাকে। ১৮ আগস্ট হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান আরাফাত মারা গেছেন।

    তারা আরও জানান, ছেলের মৃত্যুর পর মেয়েরও ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। মেয়ের চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি রাখিনি। চিকিৎসকেরা যখন যা লাগবে বলেছেন, তাই করেছি, কিন্তু মেয়েকেও ফেরাতে পারলাম না। ২৫ আগস্ট সকালে সেও মারা যায়। বাবা মোহাম্মদ ইব্রাহিম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে ছেলে-মেয়েকে হারালাম। পুরো ঘরেই তাদের স্মৃতি। এক হাতের ওপর মেয়ে, আরেক হাতের ওপর ছেলে ঘুমাত। সন্তানদের হারিয়ে আমাদের মতো অভাবী আর দুঃখী আর কেউ নেই।

    তিনি বলেন, আমার ছেলে-মেয়ের হায়াত ছিল না, সৃষ্টিকর্তা তাদের নিয়ে গেছেন। কিন্তু আমাদের দেশের বেশির ভাগ হাসপাতালগুলোর খুবই খারাপ অবস্থা। টাকা থাকলেও ভালো চিকিৎসা না পেয়ে আমার মেয়েটা মারা গেল, এটাই মেনে নিতে পারছি না।

    মা রাবেয়া আক্তার কাঁদতে কাঁদতে বলেন, মেয়েটা লম্বায় প্রায় আমার সমান হয়ে গিয়েছিল। বাসায় বেশিরভাগ সময় আমরা তিনজনই থাকতাম। কত মজা করতাম। এই ঘরে এখন আমি একা কীভাবে থাকব?

    উল্লেখ্য, চলতি বছর ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৫০০ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৪৭৮ জন। মারা গেছেন ৫৭৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ৪২২ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরের ১৫৪ জন।

    Comments

    comments

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩
    ১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
    ২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
    ২৮২৯৩০