• আজ বৃহস্পতিবার
    • ৫ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ১৯শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ২০শে জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

    ‘কক্সবাজারে হোটেলে নারীর সঙ্গে বাবুলকে দেখে ফেলেন মিতু’

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৩ মে ২০২১ | ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

    সাবেক এসপি বাবুল আকতার স্ত্রী হত্যায় ফেঁসে গেলেন। এতদিন যিনি মাহমুদা খানম মিতু হত্যার বাদী ছিলেন এখন তিন এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে পুলিশ রিমান্ডে।

    মিতুর মা সাহেদা মোশাররফ বলেন, বিয়ের প্রথম দিকে বাবুলের সঙ্গে মিতুর সম্পর্ক ভালোই ছিল। আমার দুই মেয়ে, কোনো ছেলে নেই। বাবুলকে নিজের ছেলের মতো করে দেখেছি। বিয়ের পর দিনের পর দিন বাবুল আমার বাসায় থেকেছে। চাকরির জন্য লেখাপড়া করেছে। বেকার বাবুলের ব্যাংকে চাকরি হয়েছে। সেই চাকরি থাকা অবস্থায় বাবুল বিসিএস দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হয়। এই যে বাবুল পুলিশ অফিসার হয়ে গেল, এরপর তার মধ্যে পরিবর্তন আসা শুরু হলো। আমার মেয়ে মিতুকে অবহেলা করত।

    পুলিশের দাপট ও টাকার জোরে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বাবুল। এমনটি জানিয়ে মিতুর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে একদিন রাত ৩টার সময় ফোন দিয়ে বলেছিল, মা, আমি কালই ঢাকায় চলে আসব। তখন আমি মিতুর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কী হয়েছে? মিতু তখন বলেছিল, কক্সবাজারের একটি হোটেলে একজন নারীর সঙ্গে বাবুলকে দেখেছে মিতু। বহুবার আমার মেয়ে আমাকে বলেছিল। শুধু দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সে বাবুলের সঙ্গে সংসার করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেয়ে আর বাঁচতে পারল না। ওরা আমার নাতির সামনে আমার মেয়েকে খুন করে ফেলল।’

    বুধবার বাবুলকে প্রধান আসামি করে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন যে মামলা করেছেন তাতেও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এজাহারে মোশাররফ হোসেন লেখেন, জাতিসংঘে কর্মরত একজন নারীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণে তার মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছেছিল। মোশাররফ লেখেন, ‘হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দানকারী ২ নং বিবাদী মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা তার (বাবুল আক্তারের) দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত ও পারিবারিকভাবে পরিচিত সোর্স হওয়া সত্ত্বেও সুকৌশলে তাকে শনাক্ত না করে জঙ্গিদের দ্বারা হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে মর্মে দাবি করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করে।

    মোশাররফ আরও লেখেন, বাবুল আক্তার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে পরিবারে চরম অশান্তি দেখা দেয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় মিতুকে বাবুল আক্তার বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। মিতুর বাবা এজাহারে ওই নারীর সঙ্গে বাবুল আক্তারের বিনিময় কিছু খুদে বার্তার উল্লেখ করেন।

    মোশারফ হোসেন থানায় মামলা করে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেন, কক্সবাজারে এক এনজিওকর্মীর সঙ্গে বাবুলের পরকীয়া ছিল। সেটি মিতু জেনে ফেলেছিলেন। এরপর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চূড়ান্ত রুপ নেয়। এ কারণেই বাবুল মিতুকে হত্যা করেন।

    Comments

    comments

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩
    ১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
    ২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
    ২৮২৯৩০