- আজ রবিবার
- ৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২০শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২৩শে মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৩ আগস্ট ২০২২ | ৬:১৩ অপরাহ্ণ
ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার বিমান ঘাঁটিতে হামলার জন্য আমেরিকার কোনো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি বলে দাবি করেছে মার্কিন সেনা সদরদপ্তর ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন। ক্রিমিয়ার সাকি বিমানঘাঁটিতে গত মঙ্গলবার কয়েক দফা বিস্ফোরণে প্রায় আটটি বিমান ও প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ ধ্বংস হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলার পেছনে ইউক্রেনের হাত রয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। তবে কী কারণে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে আমেরিকা তা জানে না। বিস্ফোরণের পর এ পর্যন্ত কেউ এর দায়িত্ব স্বীকার করেনি এবং কি কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে তাও পরিষ্কার নয়। রাশিয়া বলছে এটি একটি দুর্ঘটনা কিন্তু মার্কিন গণমাধ্যম দাবি করছে এটা হামলা ছিল।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধে আমেরিকা ইউক্রেনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে এবং প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে।
এছাড়া আমেরিকা নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইউক্রেনকে রাডার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যাতে ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান রাশিয়ার রাডার ও অন্যান্য সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে।
ক্রিমিয়ার রুশ বিমানঘাঁটিতে হামলা প্রসঙ্গে আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা ইউক্রেনকে এমন কোনো অস্ত্র দেই নি যা দিয়ে ইউক্রেন ক্রিমিয়ায় হামলা চালাতে পারে।”
ওই কর্মকর্তা সুনির্দিষ্ট করে বলেন, “ইউক্রেন আমাদের কাছে মধ্যম পাল্লার আর্মি টেকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম পাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে কিন্তু আমরা তাদেরকে এই ক্ষেপণাস্ত্র দেই নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমেরিকার সামরিক বাহিনী নিশ্চিত নয় যে, ক্রিমিয়ার বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে নাকি এটি অন্তর্ঘাতমূলক কোনো ঘটনা। মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেন, এই হামলা রাশিয়ার বিমান বাহিনীর উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।