- আজ সোমবার
- ৮ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২১শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২০শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
গাজা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের টানেল কমপ্লেক্সে সাগরের লবণাক্ত পানি পাম্প করা শুরু করেছে। টানেলগুলো পানি দিয়ে ভর্তি করতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে এ খবর জানিয়েছে ইসরায়েল সামরিক বাহিনী
মঙ্গলবার অনামা মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তারা।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ প্রক্রিয়া হামাসের সুরক্ষিত দুর্গ টানেলগুলো ধ্বংস করতে কাজে লাগতে পারে।
ইসরায়েলের বিশ্বাস হামাস গোষ্ঠী ৭ অক্টোবরের নজিরবিহীন হামলার সময় ধরে নিয়ে যাওয়া জিম্মিদের গাজার ভূগর্ভস্থ টানেলগুলোতে বন্দি করে রেখেছে। পাশাপাশি এসব টানেলে হামাসের যোদ্ধারাও তাদের অস্ত্রশস্ত্রের ভাণ্ডার নিয়ে আত্মগোপন করে আছে। এসব টানেল থেকে বের হয়ে তারা ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আবার সেখানে পালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু ভূগর্ভে সাগরের লবণাক্ত পানি ঢালার এ কার্যক্রমে গাজার সুপেয় পানির সরবরাহ বিপন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কিছু মার্কিন কর্মকর্তা।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এ প্রতিবেদনের বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, গাজার টানেলগুলোকে কোনো জিম্মি নেই বলে শুনেছেন তিনি, কিন্তু খবরগুলো নিশ্চিত করা হয়নি।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মাঝে এক সপ্তাহের ‘মানবিক বিরতি’ চলাকালে কিছু জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। ওই সব জিম্মিদের কয়েকজন জানিয়েছেন, তাদের গাজার টানেলগুলোতে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, তারা প্রকাশিত এসব ভাষ্য যাচাই করে দেখছে।
১ ডিসেম্বর যুদ্ধের ওই কথিত ‘মানবিক বিরতি’ ভেঙে যাওয়ার পর থেকে উত্তর গাজা ধ্বংস করা ইসরায়েলে ভূখণ্ডটির দক্ষিণাংশেও তাদের হামলা বিস্তৃত করে। মঙ্গলবার ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো দক্ষিণ গাজার প্রধান শহর খান ইউনিসের কেন্দ্রস্থলে গোলাবর্ষণ করেছে। রাতে ইসরায়েলি জঙ্গি বিমানগুলো শহরটিতে বোমাবর্ষণ করেছে।
গাজার এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাতে বোমা হামলায় খান ইউনিসে দুই শিশুসহ ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এদিন গাজার মিশর সীমান্তবর্তী শহর রাফায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলা শিশুসহ ২২ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
ডিসেম্বরে গাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের এই রাফায় আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছিল, এখানে আসলে তারা নিরাপদ থাকবে।