- আজ সোমবার
- ২৩শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ৭ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১০ই মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৪ মার্চ ২০২৫ | ৪:২৬ অপরাহ্ণ
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক অটোরিকশা চালককে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যার পর সড়কে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাকওয়া পরিবহনের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা নিতে গড়িমসির অভিযোগ তুলে তাকওয়া পরিবহন বন্ধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন অটোরিকশাচালক ও স্থানীয়রা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া নতুন বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন কয়েক হাজার মানুষ।
নিহত অটোরিকশাচালক মো. লিটন মিয়া (৩৫) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাদখলা গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্ত্রী শারমিন বেগম বলেন, ‘গতকাল সোমবার বিকেলে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের স্টাফের সঙ্গে আমার স্বামীর বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর তাকে তাকওয়া পরিবহনের স্টাফরা জোর করে তুলে নিয়ে যান। তুলে নেওয়ার দুই ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলের দেড় কিলোমিটার দূরে স্বামীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে স্বামীর হাত-পায়ের রগ কাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহতের ছোট ভাই মো. আজিজুল অভিযোগ করে বলেন, ‘ভাইকে তুলে নিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে গড়িমসি করে। রাতভর থানায় অবস্থান করেও মামলা নেয়নি পুলিশ। আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করলো অথচ পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনার মামলা করার পরামর্শ দেয়। এজন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও অটোরিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করেন।’
ইমাম পরিবহনের চালক মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে সড়কে আটকে রয়েছি। সড়কে হাজার হাজার মানুষ অবরোধ করেছে। গাড়িতে যাত্রীরা খুবই ভোগান্তিতে আছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা নেওয়া হচ্ছে। তাকওয়া পরিবহন বন্ধ না করলে ওরা সড়ক ছাড়বে না। দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে সড়কে। দুপুর ১২টার দিকে অটোরিকশাচালক এবং স্থানীয়দের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।