- আজ বুধবার
- ১০ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২৩শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২২শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৬ এপ্রিল ২০২২ | ৪:০৪ অপরাহ্ণ
আগামী জুনে পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে— একথা আগেই জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেতু নির্মাণের অনেক মালামাল আসতে বিলম্ব হওয়ায় ঘোষিত সময়ে সেতু উদ্বোধন শঙ্কায় পড়ে। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জানান, দেশের সবচেয়ে বড় এই মেগাপ্রকল্প উদ্বোধন চলতি বছর শেষ দিকে হতে পারে। তবে `শতভাগ সততার‘ সঙ্গে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ হচ্ছে, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আবার জানালেন, আগামী জুন মাসেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে পারে।
আজ শনিবার (১৬ এপ্রিল) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এতিম, প্রতিবন্ধী, অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ এবং রাজধানীর পল্লবী হত্যাকাণ্ডের শিকার আওয়ামী লীগ নেত্রী উমামা বেগম কনকের পরিবার ও ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শতভাগ সততার সঙ্গে পদ্মাসেতুর কাজ করা হচ্ছে। কোনও বিদেশি ঋণ ছাড়াই পদ্মাসেতু নির্মাণ হচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে আর শেখ হাসিনা সরকার দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে।
`সরকার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে’ বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে দেশে যা করেছিল তা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি। তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল বহুদলীয় ছদ্মবেশী তামাশা।’
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যিনি নিজে সংসদ সদস্য হয়ে সংসদে যায়নি, তার মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।’
‘গণতন্ত্রের নামে মুখোশ পড়া বর্ণচোরাদের চিহ্নিত করা’র আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামল ছাড়া আর কোনও সরকারের শাসনামল ভালো ছিল না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও দলীয় সভাপতির দেওয়া ওয়াদা শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন হচ্ছে। যারা ক্ষমতায় থেকে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে ক্ষমতা ব্যবহার করেছে তারাই দেশের উন্নয়ন ও মানুষের সেবা নিয়ে অন্ধ সমালোচনা করছে।’
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার তুলনার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ কখনও ঋণ খেলাপি হয়নি, হবেও না। অন্যদিকে অন্য সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ একাধিকবার ঋণ খেলাপি হয়েছিলেন।’
‘গাধা যেমন জল ঘোলা করে পানি খায়, তেমনি বিএনপিও আগামী জাতীয় নির্বাচনে জল ঘোলা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে’, বলেও আশা করেন ওবায়দুল কাদের।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকার নির্বাচন কমিশনকে শুধু সহযোগিতা করবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। পরে এতিম, প্রতিবন্ধী ও বিভিন্ন অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ এবং নিহত কনকেের স্বজনদের মধ্যে আার্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন নেতারা।