- আজ মঙ্গলবার
- ২৮শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১২ই আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৫ই সফর ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ৬:৫২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু ক্রমাগত বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৪৪৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ১৮৩ জনে। এ সময়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, ফলে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০১ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৫ জন বরিশাল বিভাগে। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৮৪ জন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮১ জন, খুলনা বিভাগে ৫৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন, রংপুর বিভাগে ৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৩৭৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন, যার মধ্যে ঢাকায় ৩৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯৮৫ জন।
মৃত তিনজনের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম বিভাগে এবং দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি জুলাই মাসে, ৪১ জন। এ ছাড়া জুন মাসে ১৯ জন, জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ৭ জন, মে মাসে ৩ জন এবং অগাস্টের প্রথম ১০ দিনে ১৮ জন মারা গেছেন। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫১ জন, জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন এবং অগাস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত ৩ হাজার ২০৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হন না, ফলে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা জানা সম্ভব হয় না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ জন এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিধন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জোরদার করা জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।