- আজ রবিবার
- ৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ | ৭:২৭ অপরাহ্ণ
বছরটা বীরের বেশেই শেষ করলো ভারতীয় দল। যার শুরুটা হয়েছিল ব্রিসবেনের গ্যাব্বা দুর্গ পতনের মধ্যে দিয়ে। শেষটাও হলো স্বস্তির। সেঞ্চুরিয়নে আরেকটি দুর্গ গুঁড়িয়ে জিতে নিয়েছে বক্সিং ডে টেস্ট। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে সফরকারী দল।
সন্ধিক্ষণের মধ্যে দিয়ে গেলেও প্রোটিয়ারা ঘরের মাঠে সব সময়ই অপ্রতিরোধ্য। আর সেঞ্চুরিয়নে এলে তো সেটা প্রতিষ্ঠিত ব্যাপারই। দুর্গে পরিণত এই ভেন্যুতে খেলা হয়েছে ২৭টি টেস্ট। যার মধ্যে ভারত উপহার দিলো তৃতীয় হারটি। যা সেঞ্চুরিয়নে ভারতের-ই প্রথম জয়।
অথচ দ্বিতীয় দিন যখন পরিত্যক্ত হয়ে যায়, সকলে ভেবে বসে এই টেস্টের সম্ভাব্য ফল বুঝি ড্রই হতে যাচ্ছে। কিন্তু সেঞ্চুরিয়ন তার চিরাচরিত পিচের চরিত্র বদলালে রোমাঞ্চকর হয়ে দাঁড়ায় এই টেস্ট। তৃতীয় দিনেই উইকেট পড়েছে ১৮টি! তাই দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতও সেভাবে স্কোর করতে পারেনি। গুটিয়ে যায় ১৭৪ রানে। তার পরেও প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় এটা পরিষ্কার হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৩০৫ রানের লক্ষ্যটা অসম্ভব কিছু।
আগের দিনই ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ায় খাদের কিনারে ছিল প্রোটিয়ারা। শেষ দিন ৬ উইকেট হাতে নিয়ে প্রয়োজন ছিল ২১১ রান। স্বাগতিকদের আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে ছিলেন ডিন এলগার। কিন্তু দিনের দশম ওভারেই তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। প্রোটিয়া অধিনায়ক ৭৭ রানে ফিরেছেন। কুইন্টন ডি ককের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছিল, কিন্তু অভিজ্ঞ ব্যাটার ২৮ বলে ২১ রানের বেশি করতে পারেননি। দুর্বল প্রতিরোধে বাকিরাও ফিরে গেলে ১৯১ রানেই শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।শুধু ৮০ বল খেলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তেম্বা বাভুমা।
এই ইনিংসে জসপ্রিত বুমরাহ ৫০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাতে বিদেশের মাটিতে কীর্তিও গড়া হয়ে গেছে তার। বিদেশে ভারতীয়দের মধ্যে ১০০ উইকেট নিতে এই পেসার ছিলেন সবচেয়ে দ্রুততম।
৬৩ রানে মোহাম্মদ সামিও ৩ উইকেট নিয়েছেন। পাশাপাশি ৪৭ রানে দুটি নেন মোহাম্মদ সিরাজ। অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও ১৮ রানে দুটি উইকেট নিযেছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৩২৭ (রাহুল ১২৩; লুঙ্গি ৬/৭১) ও ১৭৪ (পান্ত ৩৪, রাহুল ২৩; রাবাদা ৪/৪২, জেনসেন ৪/৫৫), ম্যাচসেরা- লোকেশ রাহুল।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯৭ (বাভুমা ৫২; সামি ৫/৪৪) ও ১৯১ (ডিন এলগার ৭৭; বুমরাহ ৩/৫০, সামি ৩/৬৩)