- আজ মঙ্গলবার
- ৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২৪শে মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান ও কমিশনার না থাকায় অচল হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফলে দুর্নীতির প্রায় ২০ হাজার অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। দুদকের অনুসন্ধানকারীদের আশঙ্কা, এই সুযোগে অনিয়ম করে লোপাট করা হাজার কোটি টাকা লুকিয়ে ফেলছেন দুর্নীতিবাজরা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আশা ছিল, সারা দেশে দুর্নীতিবাজদের বাসা-বাড়ি থেকে উদ্ধার হবে হাজার কোটি টাকা। কিন্তু চার মাসের বেশি সময়ে ১০ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পয়লা নভেম্বর পদত্যাগ করেন দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার। আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া কমিশন ৫ আগস্টের আগে-পরে দুর্নীতি দমনে ইচ্ছুক ছিল না বলে অভিযোগ রয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শুরু থেকে এ পর্যন্ত দুর্নীতির দায়ে কয়েকজন চুনোপুঁটি ছাড়া বড় কোনো রুই-কাতলাকে বিচারের আওতায় আনতে পারেনি দুদক।
দুদক কর্মকর্তাদের দাবি, এক মাসের বেশি সময়েও নতুন কমিশন গঠন না হওয়ায় আইনের ব্যত্যয় হয়েছে। পার পেয়ে গেছে অনেক দুর্নীতিবাজও। কেননা কমিশনের অনুমোদন ছাড়া দুদক কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ নিতে পারেন না।
দুদকের পরিচালক ড. জহিরুল হুদা বলেন, কমিশনের অভিভাবক হিসেবে চেয়ারম্যান ও কমিশনার যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রদান করে থাকেন কর্মকর্তা, কর্মকর্তারা তা বাস্তবায়ন করেন। দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান ও কমিশনার না থাকায় এখন ওপর থেকে কোনো নির্দেশনা আসছে না। ফলে দুর্নীতির প্রায় ২০ হাজার অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।