• আজ বৃহস্পতিবার
    • ৫ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ১৯শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ২০শে জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

    দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারাগারে

    দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারাগারে

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২৩ মে ২০২২ | ৪:০৪ অপরাহ্ণ

    অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ বুধবার (২৩ মে) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদের আদালতে দুদক চট্টগ্রাম-২-এর সাবেক সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন সাক্ষ্য দেন। তিনি এই মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা। আগামী ২৯ মে এই মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

    দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, ‘প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলায় আজ রবিবার বাদী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই পর্যন্ত মোট ২৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। নতুন করে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আর কোনও সাক্ষী আদালতে উপস্থিত করা হবে না।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আজ আদালতে মামলার দুই আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণ উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ আগে থেকে উপস্থিত থাকলেও চুমকি প্রথমবারের মতো আদালতে উপস্থিত হন। আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

    আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম বলেন, ‘দুদকের করা মামলায় দুই আসামির মধ্যে প্রদীপ কুমার দাশ আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন। আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন চুমকি কারণ। আদালত সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

    তিনি দাবি করেন, ‘চুমকি কারণ শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাকে যেন কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় আদালতের কাছে আমরা এ আবেদন করেছি। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।’

    ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন মামলাটি করেন। মামলায় তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।

    অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রদীপের স্ত্রীর নামে চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরে বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি কার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। চুমকির চার কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল। যার মধ্যে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় দুই কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। বাকি দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকা অবৈধ সম্পদ বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে দুদক। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদ।

    Comments

    comments

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩
    ১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
    ২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
    ২৮২৯৩০