- আজ বুধবার
- ১০ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২৩শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২২শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২৬ এপ্রিল ২০২২ | ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের কারণে নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে’ এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন দমাতেই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এটা লজ্জাজনক। আন্তর্জাতিকভাবে আমরা বাংলাদেশকে ছোট করছি। এর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ সরকার।
‘আজ আমরা যখন আন্দোলনে নেমেছি তখন নিউমার্কেটের দোকানিরা প্রতিরোধ করতে শুরু করেছে। হেলমেট ধারীরা এ প্রতিরোধ দমন করার জন্য হত্যা করেছে। আমি অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার ও বিচার চাই। একই সঙ্গে মকবুল হোসেনসহ আমাদের বিএনপি নেতাকর্মীদের যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তি চাই।’
তিনি বলেন, দেশের জনগণকে এই স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য আমাদের একটাই পথ উন্মুক্ত। সে পথ হচ্ছে দিনের ভোট রাতের অন্ধকারে ডাকাতি করে, সেই স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা। আর এটাই স্থায়ী সমাধান। আজ সারাদেশের কোটি কোটি মানুষ এ কথা বলছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের অঙ্গসংগঠন ও দেশের সব গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এ সরকারকে হটাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
সমাবেশের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, হেলমেট বাহিনী, লুটপাট বাহিনী ও চাঁদাবাজ বাহিনীকে হালাল করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কারও নামে মামলা খুঁজে দেখা যাবে, মরা মানুষের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কাকে মারে কাকে ধরে সে সব ফুটেজ নাই বা খুঁজলাম। পুলিশের যারা মামলার আয়ু হন, অন্যায়ভাবে মামলা দেন, তাদের নাম কাটাবেন কী করে? বাংলাদেশে যত মামলা হয়েছে প্রত্যেকটা মামলার আয়ু আছে। তাদের বাড়ি ঘরের ঠিকানা, কিন্তু সবার জানা।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়েছেন। বিদেশিদের অন্ধ বানানোর চেষ্টা করেছেন। আজ দেশ ও বিদেশের সবাই এই প্রতারণা বুঝতে সক্ষম হয়েছে। সুতরাং আর নতুন প্রতারণা বা ধোঁকাবাজির সুযোগ নেই।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, এই আন্দোলন আমাদের চলমান। কখন বেগবান হবে তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা অনেক সময় পার করেছি দীর্ঘ ১৩/১৪ বছর। আর ১৪ মাসও নয়।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবাদের স্থান জাতীয় প্রেস ক্লাব। কিন্তু আগামী দিন শুধু প্রেস ক্লাব নয়, ঢাকার শহরে অন্তত শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে, যেখানে আমাদের প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে। অলিগলি পাড়া-মহল্লায় সব জায়গায় প্রতিবাদের ঝড় তুলতে হবে।
গয়েশ্বর বলেন, আমাদের লক্ষ্য অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। এই পার্লামেন্ট বাতিল না করলে তা সম্ভব নয়। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। এটা বিজ্ঞানাগার থেকে শুরু করে সব কিছুতেই পরিচিত। সেই কারণে বিএনপির সিদ্ধান্ত এই সরকারের অধীনে কোনো প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির, জয়নাল আবেদিন ফারুক, রুহুল কবির রিজভী,মীর সরাফৎ আলী সপু, ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহহিয়া, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।