- আজ মঙ্গলবার
- ৯ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২২শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২১শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৯ জানুয়ারি ২০২২ | ২:১১ অপরাহ্ণ
মাঘের শুরুতে দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন ছিল ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে টানা গত পাঁচ দিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
দিনাজপুরে বাতাসের আদ্রতা ৯৬ শতাংশ এবং গতিবেগ ঘণ্টায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার। জেলার পার্শ্ববর্তী নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি, রংপুরে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি, নওগাঁয় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি ও রাজশাহীতে ১১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা হিমেল বাতাসে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এরই মধ্যে আগামী ২২-২৩ জানুয়ারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে।
দিনাজপুরের রাজবাড়ি এলাকার দিনমজুর রশিদুল ইসলাম বলেন, শীতে ঠিকভাবে কাজ করা যায় না। একদিন কাজ করি, দুই দিন বসে থাকি। আয়-উপার্জন কমে গেছে।
অটোরিকশাচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, শীতে যাত্রীও কম। পাশাপাশি দীর্ঘসময় অটো চালানো যায় না। একটুতেই পুরো শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে। কবে যে এই শীত যাবে।
এদিকে শীতের পাশাপাশি প্রচন্ড কুয়াশায় দিনাজপুরের আলু, টমেটো ক্ষেত ও বোরো ধানের বীজতলায় মড়ক দেখা দিয়েছে। ফলে কৃষকদের প্রয়োজনীয় বালাইনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। এরপরও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গাছ। ফলে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যদিকে বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা।
বোলতৈড় এলাকার কৃষক সেলিম রেজা বলেন, আমাদের এখানে মূল আবাদ টমেটো ও বোরো ধান। কয়েকদিনের প্রচন্ড কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হতে শুরু করেছে। টমেটোর গাছে মড়ক দেখা দিচ্ছে। আমরা হয়তো প্রয়োজনীয় বালাইনাশক স্প্রে করছি, কিন্তু ফলাফলটা তেমন পাচ্ছি না।
একই এলাকার কৃষক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শীতের মধ্যে কৃষকদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা কুয়াশা। কুয়াশা হলেই আমদের দুশ্চিন্তা বাড়ে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ এএসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, বোরো বীজতলা বাঁচিয়ে রাখতে অবশ্যই পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পাশপাশি টমেটো ও আলুতে যে ধরনের বালাইনাশক স্প্রে করতে হবে, সেই পরামর্শও প্রদান করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে কৃষকদের তেমন একটা ক্ষতি হবে না।