- আজ মঙ্গলবার
- ৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২৫শে মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০২ মার্চ ২০২৪ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ
রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এ দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তাও নেই। এখানে অগ্নিকাণ্ড-ভবনধসে মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু তা–ই নয়, কারাগারে নির্যাতনে, গুম-খুনের মাধ্যমেও মানুষ মারা যায়।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। মিছিল-সমাবেশে হামলা-নির্যাতন বন্ধ এবং গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা শহর একটা অগ্নিকাণ্ডের শহরে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বেইলি রোডের মতো একটি অভিজাত এলাকাতেও এমন অগ্নিকাণ্ড এবং এত মানুষের মৃত্যু হয়; এটাকে সহজভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শুধু ঢাকাতেই গত দেড় দশকে বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডে কয়েক শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, এ দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুরও নিশ্চয়তা নেই। অগ্নিকাণ্ডে-ভবনধসে মানুষকে মরতে হচ্ছে। কিছুদিন আগে জেলখানার মধ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দলের ১০ নেতাকে মরতে হয়েছে। সন্ত্রাসী আক্রমণে, পুলিশের গুলিতে, গুম-খুনের মধ্য দিয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। যে সরকার ঘরে-বাইরে মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না, তাদের উচিত অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা।
সমাবেশে গত বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। হামলার প্রসঙ্গে অন্য বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীদের ওপরে পুলিশ বেপরোয়াভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ওই দিনের হামলায় গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সাকিব আনোয়ার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের বাবুল বিশ্বাসসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ।