- আজ মঙ্গলবার
- ৯ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২২শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২১শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৬ মার্চ ২০২২ | ২:১৯ অপরাহ্ণ
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়ন বিএনপির দুটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ইতোমধ্যে নতুন কমিটি থেকে ২১ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। গত ৫ মার্চ এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইউনিয়ন বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীর অভিযোগ, ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের মতামত না নিয়ে উপজেলার কয়েকজন নেতা পছন্দের ব্যক্তিদের বড়গাছা ইউনিয়ন বিএনপির ২৮ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। আগের কমিটির বিলুপ্ত না করে নতুন করে কমিটির অনুমোদন দেওয়া গঠনতন্ত্র বিরোধী।
গত ১০ মার্চ জেলা ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের কাছে ২১ নেতা পদত্যাগপত্র জমা দেন। এতে পদত্যাগের কারণ হিসেবে তারা বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর মহরম আলীকে আহ্বায়ক করে বরগাছা ইউনিয়ন বিএনপির ৩২ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু ওই কমিটি বিলুপ্তি না করেই এবং অধিকাংশ নেতাকর্মীদের মতামত না নিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত ২৮ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
তারা আরও বলেন, এই কমিটিতে অনেক ত্যাগী ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এছাড়া আগের কমিটি বিলুপ্ত না করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা গঠনতন্ত্র বিরোধী। নতুন ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন বিকাশ চন্দ্র। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
পদত্যাগ করা নেতা-কর্মীরা হলেন—রেজাবুল হক, জাইদুল ইসলাম, মকছেদ আলী, আমিনুল ইসলাম, শাহজাহান আলী, আবু রায়হান, আরজ উদ্দীন, মোফাজ্জল হোসেন, আওরঙ্গজেব প্রামানিক, সাজ্জাদ হোসেন, সাইদুর রহমান, সোহেল, আশিক, নিরেন চন্দ্র, আব্দুল জাব্বার, শুক্কর, মোতালেব হোসেন, মনছুর, মজিদ মন্ডল, নাছির উদ্দিন ও মোজাম্মেল হক।
রেজাবুল হক বলেন, কমিটি ঘোষণার আগে ইউনিয়ন বিএনপির অধিকাংশ নেতার সঙ্গে কোনো আলোচনাই করা হয়নি। হঠাৎ করে একদিন ফেসবুকে দেখছি নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগের কমিটির বিলুপ্ত না করে নতুন কমিটির অনুমোদন এবং উপজেলা বিএনপির একজন সদস্যকে ইউনিয়ন কমিটির মূল দ্বায়িত্ব দেওয়া গঠনতন্ত্র বিরোধী। এই কমিটি আমরা মানি না।
২০১৯ সালে ঘোষিত ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মহরম আলী বলেন, আমার কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা না করেই আবার একটি নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি কেমন করে সম্ভব। যেখানে গঠনতন্ত্র মানা হয় না, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয় না সেখানে আমি নিজেকে জড়াতে চাই না।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান খান বলেন, আগের কমিটি অকার্যকর ছিল। তাই নিয়ম মেনে নতুন করে একটি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। থানা বিএনপি দলের গঠনতন্ত্র মেনেই সব কাজ করেছে।যাঁরা পদত্যাগ করেছেন, তাঁরা রাগ-ক্ষোভ থেকে এটা করেছেন। ইতোমধ্যে কয়েকজন পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয়েছেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয়, সে ধরনের কোনও কর্মকাণ্ড চলতে দেওয়া হবে না।