- আজ সোমবার
- ৮ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২১শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২০শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ | ৫:০৩ অপরাহ্ণ
১৯৯৮ সালে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার শিকার হলেও দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইয়ার পক্ষে আবু জোবায়ের হোসাইন সজিব এই নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে দৈনিক আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, এরকম চাঞ্চল্যকর ঘটনার এতদিনেও বিচার না হওয়া দুঃখজনক। মনে হয় এর পেছনে একটি চক্র রয়েছে। এই চক্রকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে নোটিশে দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ‘ক্লাব ট্রামস’-এর নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকি ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট এই মামলার রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশও। কিন্তু সেই রায় আর নিম্ন আদালতে পৌঁছায়নি। সেই মামলার নথিও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তাই আইনি নোটিশে আলোচিত এই মামলার বিচার কেন শেষ হয়নি, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও মামলাটির নথি কেন পাওয়া যাচ্ছে না এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করতে কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়। নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।