- আজ রবিবার
- ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৮ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৭ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭:০৭ অপরাহ্ণ
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে দলের আসন সমঝোতা আজ-কালের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সঙ্গে জোটগতভাবে ভোট করতে সমঝোতার আসনগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের হলেও তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না দলটি।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল সোমবার রাতে গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আসন সমঝোতার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে অবশ্যই একটা সমঝোতা হবে। এ ব্যাপারে আমু ভাই আমাদের সমন্বয়ক। তিনি মূল দায়িত্ব পালন করেছেন। আমার সঙ্গে নানক ও নাছিম ছিলেন। তারাও কালকে বৈঠকে ছিলেন।
তিনি জানান, আজকালের মধ্যে আসনের বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আজকে না হলেও আগামীকাল হবে।
১৪ দলের নেতারা এবার কত আসন ছাড় দেওয়ার প্রত্যাশা করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের প্রত্যাশা কত? আর তারা পাবে? এই দুইটা মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তাদের কিছু নেতা হয়ত নিজস্ব মার্কায় করবেন। কিন্তু তাদের অন্যান্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের মার্কা রেখেই ইলেকশন করবেন।
অযৌক্তিক বলে কিছু নেই। তারা জোট করে, দল করে। দলের কাছেও তাদের মর্যাদার ব্যাপার আছে। যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা তো চাইতেই পারেন। কিন্তু এখানে এডজাস্টমেন্টটা করতে হবে। একজনকে আমরা দিলাম কিন্তু হি ইজ নট ইলেকটেবল; হি অর সী! সে অবস্থায় একটা সমস্যা হয়ে যাবে। সেখানে অন্য কেউ বেরিয়ে আসতে পারে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
আমরা ১৪ দলীয় নেতারা সিট শেয়ারিং করব জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে আমাদের সবাইকে একটা জায়গায় একটা স্পিরিট রাখতে হবে যে, নির্বাচনে আমাদের জিততে হবে। এটা হল মূল বিষয়। এখন এক দলকেও ৪০ টা দেওয়া যায়। কিন্তু দিলেই কি হযে গেল? সেইভাবে আমরা চিন্তা করছি না। আমরা খুব সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে কথাবার্তা বলেছি। সেখানে মোটামুটি একটা বিষয় খুব লক্ষণীয় যে, রাজনৈতিক আলোচনাটাই বেশি হয়েছে। সিট বা আসন নিয়ে সাইডলাইনস কথা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সিট শেয়ারিং এটা এমন কিছু না এটা আজকালের মধ্যে হয়ে যাবে। আমু ভাই আছেন। ওনি কোঅর্ডিনেট করছেন। এটি নিয়ে কোনো সমস্যা নাই।
১৪ দলের শরিকরা অভিমান ও ক্ষোভের বিষয়ে কথা বলেছেন? এবিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মূলত ১৪ দলীয় চেয়ারম্যানের বক্তব্যটাই তারা শুনতে আগ্রহী ছিলেন। তার কাছেই অনেক বিষয়েই জাতীয় আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্তিতি এসব বিষয় নিয়ে তাদেরও আগ্রহ ছিল জোটের চেয়ারম্যান কি ভাবছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে বাইরের শক্তিরও খেলা আছে। কাজেই এটা নিশ্চয়ই প্রত্যেকের একটা স্বার্থ আছে। বাংলাদেশকে ঘিরে এই ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দেশগুলো এদের মধ্যেও একটা কো-অর্ডিনেশন আছে। এই বিষয়গুলো সময়েও সময়ে তারা আলাপ-আলোচনা করে ব্যালেন্স একটা নীতি গ্রহণ করার ব্যাপারে তারা ঐক্যমত পোষণ করেন।
যেখানে শরিক জোটের প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা হবে সেখানে কি স্বতন্ত্র প্রার্থীও থাকবে না? এবিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শূন্য এবার কোথাও থাকবে না। আমি তো বললাম শূন্য থাকবে না।
এ সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে সফট স্টাইল ফ্রি-স্টাইলের ব্যাপার না। এখানে ব্যাপার হচ্ছে এটা আমাদের স্ট্রাটেজি। ইলেকশনের স্ট্রাটেজি। এটা তো আমাদের জোটের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ওপেনলি বলে দিয়েছেন। একাধিকবার তিনি বলেছেন। কাজেই ওই সিদ্ধান্তের কোন পরিবর্তন নতুনভাবে হবে না।
তিনি আরও বলেন, স্বতন্ত্র তো স্বতন্ত্রের জায়গায় আছে। আমি যদি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরাতে চাই? সেটা কি নির্বাচনি আচরণবিধি লংঘন করবে না?
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ অন্যান্যরা।