- আজ বুধবার
- ১লা শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৬ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২৮ আগস্ট ২০২২ | ৪:৪৩ অপরাহ্ণ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে জনগণের মধ্যে যে সংশয় রয়েছে তা দূর করা আমাদের দায়িত্ব।
আজ রবিবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন: ইভিএম মেশিন ও আজকের গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিলাম– এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়, খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে নির্বাচন নয়। আমরা শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তে থাকিনি। খালেদা জিয়া এখনও মুক্ত হননি। এখনও আমরা সেই পুরনো কথাটাই বলছি। মানুষের মাঝে সংশয় রয়েছে– বিএনপি এখন বলছে নির্বাচনে যাবে না কিন্তু পরে যদি যায়! এই সংশয়টা দূর করার দ্বায়িত্ব আমাদের। আমাদের কর্ম, কর্ম পদ্ধতি, আন্দোলন কর্মসূচির আন্তরিকতার মাধ্যমে জনগণের মাঝে আস্থা ফেরাতে হবে।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘কিছুদিন আগ পর্যন্ত মানুষ বিশ্বাস করতো বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। এক শ্রেণী মনে করছে নির্বাচনে কীভাবে যায়! আরেক শ্রেণি মনে করছে নির্বাচনে যাবে। এখন আমাদের মধ্যে কে সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি, রাতের আঁধারে কে কার সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কাকে কী আসনের নিশ্চয়তা দিচ্ছে– এগুলো আমাদের জানা নেই। এ কথা প্রমাণ করারও সুযোগ নেই। আকাশে-বাতাসে কথাগুলো ভাসছে। কিন্তু জনগণের সন্দেহ যেটা রয়েছে– সেই জায়গাটা পরিস্কার করতে হবে রাজ পথের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ কেউ বিশ্বাস করবে আগামী নির্বাচনে আমাদের আশ্বস্ত করার জন্য সরকার আর কোনও ঝামেলা করবে না। যারা এ কথা বিশ্বাস করে, তারা আওয়ামী লীগকে চেনে না। আওয়ামী লীগের কথা শোনা, তাদের কথার উত্তর দেওয়া, আর তাদের স্বীকার করে নেওয়া সমান কথা। তাই আমরা কী করবো, কী করা উচিত সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকের পেক্ষাপটে সরকারের পতন, এর কৌশল নির্ধারণ, কী কী কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো যায়– সেই আলোচনা হওয়াই উচিৎ। সেটিই আমাদের জন্য বেশি জরুরি।’
জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যে মাঝে বক্তব্য রাখেন– বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কার্য নির্বাহী সদস্য মীর শরাফত আলী শফুসহ অন্যান্য নেতারা।