- আজ শুক্রবার
- ৯ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২৩শে মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২২শে জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৮ নভেম্বর ২০২১ | ৩:৪৮ অপরাহ্ণ
‘নোকিয়া’ বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া মোবাইল ফোন। একসময়ের আভিজাত্যের প্রতীকও এ ব্র্যান্ড। সেই নোকিয়া ফোন এখন তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশেই। ডিজিটাল বাংলাদেশের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে পুরোদমে চলছে নোকিয়ার অ্যাসেমব্লিং।
জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি থেকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ভাইব্র্যান্ট সফটওয়্যার ও বাংলাদেশের ইউনিয়ন গ্রুপের জয়েন্ট ভেঞ্চার ভাইব্র্যান্ট সফটওয়্যার (বিডি) লিমিটেড নোকিয়া মোবাইল ফোন উৎপাদনের জন্য তিন বছরের লাইসেন্স নিয়েছে।
স্যামসাং এবং নোকিয়ার মতো কোম্পানি বাংলাদেশ মোবাইল সেট উৎপাদন করবে, এটি বোধহয় অনেকে কল্পনাও করতে পারেনি। অথচ সেটা এখন বাস্তব। বেসিস প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ সুযোগটা ২০১৭ সালে আমি তৎকালীন অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে নিতে পেরেছিলাম। দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরিকে আরও উৎসাহিত করতে যন্ত্রাংশ উৎপাদনে প্রযোজ্য ভ্যাট অব্যাহতি নিতে পেরেছিলাম সেই বছরে। একই সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে কাঁচামালের আমদানি শুল্কে ছাড়ের ব্যবস্থা করেছিলাম
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ৫ নম্বর ব্লকে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ নিয়ে তারা কারখানা গড়ে তুলেছে। সেখানে রয়েছে ছয়টি লাইন, যার মধ্যে চারটি অ্যাসেম্বলিং ও দুটি প্যাকেজিংয়ের লাইন। কারখানায় প্রায় ৫০০ কর্মী রয়েছেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে কারখানায় মোবাইল ফোন সংযোজন করা শুরু হয়।
বর্তমানে এ কারখানাটিতে নোকিয়ার ৩.৪ মডেলের স্মার্টফোন তৈরি হচ্ছে। এ মডেলের ১০-১২ হাজার ইউনিট মোবাইল প্রতিষ্ঠানটির বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। নোকিয়ার জি-১০ মডেলের ফোনও এখানে অ্যাসেমব্লিং করা হবে। এছাড়া চলতি নভেম্বরে শেষে জি-১০ মডেলের স্মার্টফোন তৈরির মাধ্যমে দ্বিতীয় লটের উৎপাদন শুরু হবে। গত জুলাইয়ের শেষদিকে ফোন দুটি বাজারে আসার কথা থাকলেও মহামারি করোনা কারণে তা পিছিয়ে যায়।