• আজ বৃহস্পতিবার
    • ২৬শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ১০ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ১২ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

    পশ্চিমবঙ্গের নাম পাল্টে ‘বাংলা’ করার দাবিতে মোদিকে মমতার চিঠি

    পশ্চিমবঙ্গের নাম পাল্টে ‘বাংলা’ করার দাবিতে মোদিকে মমতার চিঠি

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন দাবি জানিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর একটিতে পশ্চিমবঙ্গের নাম পাল্টে ‘বাংলা’ করার দাবি জানানো হয়। আরেকটিতে বাংলাকে ধ্রুপদি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান মমতা। অন্য চিঠিতে গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি চাওয়া হয়েছে।

    গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) কেন্দ্রে এসব চিঠি পাঠানো হয়।

    পশ্চিমবঙ্গের নাম পাল্টে বাংলা করার সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে বলেন, ‘বর্তমান নামটি ডব্লিউ দিয়ে শুরু হয়। নাম বদলে ‘বাংলা’ করা হলে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ছেলেমেয়েদের সুবিধা হবে। কাজের জন্য আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। অনেকবার এই আরজি কেন্দ্রকে জানিয়েছি। যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আবার বলছি।’

    ধ্রুপদি ভাষার স্বীকৃতি দাবি

    প্রধানমন্ত্রীকে লেখা আরেক চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলা ভাষার প্রাচীনত্ব প্রমাণ করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষে একটি বিস্তারিত এবং দীর্ঘ গবেষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলার আড়াই হাজার বছরের পুরোনো ইতিহাস জানা গেছে।

    চিঠিতে মমতা বলেন, ‘ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তামিল, তেলেগু, সংস্কৃত, কন্নড়, মালয়ালম এবং ওড়িয়া ভাষাকে ধ্রুপদি ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলা অনেক ব্যাপারেই বঞ্চিত। আমরা গবেষণা করে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি। আড়াই হাজার বছর ধরে বাংলা ভাষায় জনমত বিবর্তিত হয়েছে। এই ভাষাও তাই কেন্দ্রীয় স্বীকৃতির যোগ্য।’

    বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ওই গবেষণাপত্রের সারাংশও কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে রাজ্য। বাংলার প্রাচীনতা নিয়ে চার খণ্ডের একটি গবেষণাপত্র তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। এত দিন বাংলা এই স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত থাকার কারণ হিসেবে আগের সরকারের নিষ্ক্রিয়তার দিকেও আঙুল তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বাংলার অনেক দিন আগেই জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়ার কথা ছিল। এখানেও বাংলা বঞ্চিত হয়েছে। এই অপদার্থতা আমাদেরই। যাঁরা আগে ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা এ নিয়ে কোনো চেষ্টা করেননি। রাজনীতির বাইরে কিছুই তাঁরা করেননি।’

    প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে মমতা আরও বলেছেন, বাংলা সারা দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কথিত ভাষা। বিশ্বের নিরিখে এই ভাষার স্থান সপ্তম। ধ্রুপদি ভাষা হিসেবে কেন্দ্রের স্বীকৃতির জন্য যেসব বৈশিষ্ট্য দরকার, বাংলায় তা আছে।

    গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি দাবি

    নরেন্দ্র মোদিকে আরেকটি চিঠি দিয়ে মমতা গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন। এতে মমতা বলেন, ‘আগেও আমরা গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছি। আবার দিলাম। কুম্ভমেলা যদি স্বীকৃতি পায়, গঙ্গাসাগর মেলা কেন পাবে না? এই মেলা প্রতি বছর হয়। প্রচুর জনসমাগম হয় সেখানে। এবারও ১ কোটির বেশি লোক হবে বলে আমরা আশা করছি। কোন অংশে অন্য মেলার থেকে তা কম?’

    চিঠিতে গঙ্গাসাগর মেলার মাহাত্ম্য বর্ণনা করে মমতা জানিয়েছেন, আকার ও ব্যাপ্তির দিক থেকে কুম্ভমেলার পরেই এই মেলার স্থান। গুরুত্বে কুম্ভের থেকে গঙ্গাসাগর কোনো অংশে কম নয়। প্রতিবছর মকরসংক্রান্তিতে এই মেলা হয়। রামায়ণ, মহাভারত এমনকি কালীদাসের রঘুবংশ নাটকেও এই মেলার উল্লেখ রয়েছে। এ বছর গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনে রাজ্য সরকার ২৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে বলে জানিয়েছেন মমতা।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১
    ১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
    ১৯২০২১২২২৩২৪২৫
    ২৬২৭২৮২৯৩০৩১