- আজ রবিবার
- ৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৫ আগস্ট ২০২১ | ৪:৫৫ অপরাহ্ণ
বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক ভাবনায় ছিলো সাধারণ মানুষের মুক্তি। দেশ গড়ার জন্য মাত্র তিন বছর সময় পেলেও তা কাজে লাগিয়েছেন বহুমাত্রিক পরিকল্পনায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, উপযুক্ত সহযোদ্ধা পেলে দেশকে আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে পারতেন বঙ্গবন্ধু।
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল যার গরিব, খেটে মানুষের জন্য, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশ স্বাধীন করবার পর, পরিচালনার জন্য সময় পেয়েছিলেন একেবারেই অল্প।
বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব নিয়েই ঝাঁপিয় পড়েন অবকাঠামো বিনির্মাণে। পরিস্থিতির কারণে বহু উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নিলেও, তাতে নিশ্চিত করেন শ্রমিকদের মালিকানা।
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অসংখ্য সঙ্কট, অভাব অনটন আর মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে, ধনী গরিবের বৈষম্য কমাতে, সীমা বেঁধে দেন জমির মালিকানার। দেশ সেরা অর্থনীতিবিদদের নিয়ে গঠন করেন পরিকল্পনা কমিশন। সেখানেও, পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য গুরুত্ব পায় শিল্পায়ন, স্বাস্থ্য-শিক্ষার মতো খাত। সমানতালে, শক্তিধর অর্থনীতিগুলোর সাথে যোগাযোগ শুরু করেন বহির্বাণিজ্য বাড়াতে।
ফলাফল, মাত্র তিন বছর দায়িত্বে থেকে ৯৫ ডলারের মাথাপিছু আয় নিয়ে যান ২৯১ ডলারে।
অর্থনৈতিক মুক্তি অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে সবসময় বঙ্গবন্ধু গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষির ওপর। তাইতো, খাদ্যশস্যসহ সার্বিক উৎপাদন বাড়াতে, বিনামূল্যে বিতরণের উদ্যোগ নেন যন্ত্রপাতি, সার, বীজ, সেচসহ প্রায় সব ধরনের উপকরণ।