• আজ বৃহস্পতিবার
    • ১১ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ২৪শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ২৩শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি

    বিদ্যুৎ ঘাটতির দায় সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না: বাংলাদেশ ন্যাপ

    বিদ্যুৎ ঘাটতির দায় সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না: বাংলাদেশ ন্যাপ

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৭ জুলাই ২০২২ | ৫:৩১ অপরাহ্ণ

    সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই দেশজুড়ে মারাত্মক লোডশেড়িং। দেশবাসীকে বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের অতিকথন ও আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

    তারা বলেন, সরকারের ভুল নীতি, জ্বালানিখাতে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সিস্টেম লসের কারণে আজ বিদ্যুতের বেহাল দশা। অথচ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ দম্ভ করে বলে আসছিলেন যে, শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করে লোডশেডিং তারা জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন। তারা বলেন, কেবল ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বা আন্তর্জাতিক বাজারের কথা বলে মারাত্মক বিদ্যুৎ ঘাটতির দায় সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না। ভর্তুকির নামে প্রতিদিন জনগণের করের কোটি কোটি টাকা অপচয় করেও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণিত।

    নেতৃদ্বয় সারাদেশে ঘটা লোডশেডিং নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, সংবিধানের মূল দৃষ্টিভঙ্গিকে উপেক্ষা করে বেসরকারি খাতের প্রাধান্য বৃদ্ধির ফলে কমিশনভোগী ও বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। প্রতিবছর জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে। আজ তার পরিণতিতে বিদ্যুৎ সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। কৃষি, শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশ আরেক সংকটে পড়বে।

    তারা বিদ্যুৎসহ জ্বালানি খাতের অপরাধীদের চিহ্নিত ও বিচারের দাবি জানিয়ে কোনো কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি হলে প্রথমে সরকারের সর্বোচ্চমহল থেকে সাশ্রয়ী ব্যবহার, এসির ব্যবহার বন্ধ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সর্বত্র এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সাধারণ মানুষ, কৃষি-শিল্পের অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎখাতে চুরি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সিস্টেম লস কমাতে জরুরি ভিত্তিতে পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ, চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ দিতে না পারলে কুইক রেন্টাল প্রকল্প বন্ধ করে দিয়ে বিশাল অংকের অর্থ সাশ্রয় করা এবং সে অর্থ বিদ্যুৎ পেতে অন্যত্র ব্যয় করা উচিত।

    নেতৃদ্বয় বলেন, জরুরি ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং তার জন্য এই খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। দেশের বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দ্রুত সংস্কার করে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। গ্যাস ও তেল উত্তোলনে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং এক্ষেত্রে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার প্রদান করা প্রয়োজন। শিল্প উৎপাদন, হাসপাতালসহ জরুরি পরিসেবাসমূহ লোডশেডিংয়ের বাইরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় আশু, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অবিলম্বে জাতীয় কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১
    ১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
    ১৯২০২১২২২৩২৪২৫
    ২৬২৭২৮২৯৩০