• আজ মঙ্গলবার
    • ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ২০শে মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ১৯শে জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি

    ভারতের কারাগারে বন্দি ১০৬৭ বাংলাদেশি : গুম কমিশনের সভাপতি

    ভারতের কারাগারে বন্দি ১০৬৭ বাংলাদেশি : গুম কমিশনের সভাপতি

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৪ মার্চ ২০২৫ | ২:১৯ অপরাহ্ণ

    ভারতের কারাগারে এক হাজার ৬৭ জন বাংলাদেশি বন্দি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

    মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

    কমিশনের সভাপতি বলেন, ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে গত দুই-আড়াই বছরে আটক এক হাজার ৬৭ জন বাংলাদেশির নাম-ঠিকানাসহ একটি তালিকা পাওয়া গেছে। আরও তথ্য পাওয়া গেলে কমিশনে পাঠানো হবে মর্মে লিখিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তালিকায় গুমের শিকার কোনো ব্যক্তির নাম আছে কিনা তার অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

    মইনুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, গুম কমিশন অব ইনকোয়ারিতে আজ পর্যন্ত এক হাজার ৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার মধ্যে থেকে প্রায় এক হাজার অভিযোগ ও তার সঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্রের যাচাই-বাছাই প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কমিশনে আগত ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। প্রায় ৪৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।

    কমিশনের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপার ও বিজিবির সেক্টর কমান্ডারদের কাছ থেকে ৫ আগস্টের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন করা ব্যক্তিদের তথ্য চাওয়া হলে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্যের প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে গুমের শিকার কোনো ব্যক্তির নাম এখনও পাওয়া যায়নি।

    মইনুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, পুলিশ এবং বিজিবির পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তবে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ্ নামের গুমের শিকার ব্যক্তিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর বর্ডার দিয়ে পুশইন করা হয়েছে মর্মে আমরা অবগত আছি। এ বিষয়ে কমিশনের অনুসন্ধান চলমান আছে।

    এ সময় গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নুর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিশনের সদস্য মিজ নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকার কর্মী ও কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

    Comments

    comments

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫১৬
    ১৭১৮১৯২০২১২২২৩
    ২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
    ৩১