- আজ শনিবার
- ২৮শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৫ই মহর্রম ১৪৪৭ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১২ জুলাই ২০২৫ | ৭:২৩ অপরাহ্ণ
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় স্যাগাইং অঞ্চলে জান্তা বাহিনীর এক বিমান হামলায় কমপক্ষে ২২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ এই হামলায় একটি বৌদ্ধ মঠ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, যেখানে বাস্তুচ্যুত মানুষজন আশ্রয় নিয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে। শনিবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমার গৃহযুদ্ধে জর্জরিত। বিশেষ করে মধ্যাঞ্চলীয় স্যাগাইং প্রদেশে জান্তা বাহিনী প্রায়শই বিমান হামলা চালিয়ে আসছে, যেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জান্তা-বিরোধী যোদ্ধা এএফপিকে জানিয়েছেন, শুক্রবার (১১ জুলাই) গভীর রাতে স্যাগাইংয়ের লিন তা লু গ্রামের একটি বৌদ্ধ মঠকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়।
তিনি জানান, “হামলায় তিন শিশুসহ কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন।” আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ওই যোদ্ধা আরও বলেন, লোকজন মঠটিকে নিরাপদ আশ্রয় ভেবে সেখানে অবস্থান করছিলেন, কিন্তু তাদের ওপর বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
মঠের একটি হল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে বলে স্থানীয় একজন বাসিন্দা নিশ্চিত করেছেন। তিনি ভোরের দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ২২টি মরদেহ গণনা করেছেন এবং দেখতে পেয়েছেন যে অনেকের মাথায় আঘাতের ক্ষত রয়েছে ও অনেকের মরদেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। তিনি এই দৃশ্যকে “অত্যন্ত বেদনাদায়ক” বলে বর্ণনা করেছেন।
এই হামলার বিষয়ে মন্তব্য জানতে জান্তা বাহিনীর মুখপাত্র জ্য মিন তুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে এএফপি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে স্যাগাইং অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যাতে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মানুষ নিহত হন। ভূমিকম্পের পর জান্তা ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি অঘোষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ওই অঞ্চলে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা ও সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। গত মে মাসেও একই অঞ্চলের একটি স্কুলে বিমান হামলায় ২০ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিলেন।