• আজ শুক্রবার
    • ১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ১লা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ৫ই সফর ১৪৪৭ হিজরি

    মির্জা ফখরুল ও সাদিক কায়েমের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচারের’ অভিযোগ নাহিদের

    মির্জা ফখরুল ও সাদিক কায়েমের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচারের’ অভিযোগ নাহিদের

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ৩১ জুলাই ২০২৫ | ৬:১৮ অপরাহ্ণ

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং শিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এছাড়া জাতীয় সরকার গঠন, ছাত্রশক্তির উত্থান এবং ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী ঘটনাবলি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি বিস্তৃত পোস্টে এসব বিষয় তুলে ধরেন।

    নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, মির্জা ফখরুল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জাতীয় সরকারের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। নাহিদ এই বক্তব্যকে ‘অসত্য’ বলে উল্লেখ করে জানান, “৫ আগস্ট ২০২৪ রাতে প্রেস ব্রিফিংয়ে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। এরপর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে জাতীয় সরকার ও নতুন সংবিধানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি এতে সম্মত হননি এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরামর্শ দেন। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রস্তাব করি।”

    তিনি আরও জানান, ৭ আগস্ট ভোরে মির্জা ফখরুলের বাসায় অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে আলোচনা হয় এবং শপথের আগে তারেক রহমানের সঙ্গে আরেকটি মিটিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।

    শিবির নেতা সাদিক কায়েমের দাবি খণ্ডন করে নাহিদ লিখেছেন, “সাদিক কায়েম একটি টকশোতে বলেছেন, ছাত্রশক্তির গঠনপ্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল এবং তাদের নির্দেশে আমরা কাজ করতাম। এটি মিথ্যাচার।”

    তিনি স্পষ্ট করেন, ছাত্রশক্তি ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্র, ঢাবি ছাত্র অধিকার থেকে পদত্যাগী গ্রুপ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্টাডি সার্কেলের সমন্বয়ে গঠিত। “আমরা আট বছর ধরে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করছি। সব সংগঠনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ছিল, শিবিরের সঙ্গেও। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল।”

    তিনি জানান, সাদিক কায়েম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন না, তবে ৫ আগস্ট থেকে তিনি এই পরিচয় ব্যবহার করেছেন। “অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা ছিল, তবে এটি তাদের একক নয়। এটি শিবিরের নির্দেশনা বা নেতৃত্বেও হয়নি,” বলেন নাহিদ।

    তিনি জুলকারনাইন সায়েরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, “২ আগস্ট ২০২৪ রাতে সায়েররা একটি আর্মি ক্যু করে সামরিক বাহিনীর একটি অংশের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের চেষ্টা করেছিল। তারা সেইফ হাউসে থাকা ছাত্র সমন্বয়কদের চাপ প্রয়োগ ও হুমকি দিয়ে সরকার পতনের একদফা ঘোষণার জন্য বাধ্য করতে চেয়েছিল। আমরা বলেছিলাম, একদফা মাঠ থেকে জনগণের মধ্য থেকে ঘোষণা করতে হবে।”

    নাহিদ জোর দিয়ে বলেন, “ক্ষমতা সেনাবাহিনী বা তাদের সমর্থিত কোনো গ্রুপের হাতে দেওয়া যাবে না। এতে আরেকটি ‘এক-এগারো’র মতো পরিস্থিতি তৈরি হতো, আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সুযোগ পেত এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হতো। আমরা ৫ আগস্ট থেকে এটিকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান হিসেবে সফল করতে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এগোতে চেয়েছি।”

    নাহিদ আরও অভিযোগ করেন, জুলকারনাইন সায়ের ও তার গ্রুপ ৫ আগস্টের পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে ‘পাল্টা নেতৃত্ব’ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, যেখানে সাদিক কায়েমদের ব্যবহার করা হয়েছে। “কল রেকর্ড ফাঁস, সার্ভাইলেন্স, চরিত্রহনন, অপপ্রচার—কোনো কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমান মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার বিরল। তবে মিথ্যার ওপর বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। এরাও টিকবে না।”

    Comments

    comments

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫
    ১৬১৭১৮১৯২০২১২২
    ২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
    ৩০৩১