• আজ রবিবার
    • ৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ২০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি

    যে পরিকল্পনায় সফল মিরাজ-আফিফ

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৬:১১ অপরাহ্ণ

    বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর- প্রবাদটা খুব খাটে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের বেলায়। বিশ্বাস করেছিলেন তারা ম্যাচ জেতাতে পারবেন। এই বিশ্বাস থেকেই কঠিন অবস্থা থেকে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। আর এই জয়ের নায়ক আফিফ-মিরাজ।

    আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে ১৭৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান আফিফ ও মিরাজ। অবিশ্বাস্য-অসম্ভব এক ম্যাচ জয়ের পর মিরাজ জানালেন, কীভাবে তারা সফল হয়েছেন।

    দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়া কীভাবে সম্ভব হয়েছে, সেটি জানিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আফিফের সঙ্গে কথা বলেছি উইকেটে যে, এ একটা ম্যাচ যেটা আমরা দুজনের জেতাতে পারি। তবে বিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আমরা যদি বিশ্বাস করতে পারি এ ম্যাচ জেতাতে পারবো।’

    বিশ্বাস থাকলে যেকোনও কিছুই সম্ভব- এমন আত্মবিশ্বাস ছিল মিরাজের হৃদয়ে, ‘মানুষ পারে না এমন কোনও জিনিস নেই। শুধু দরকার বিশ্বাস। বিশ্বাস ছিল এবং দর্শক (মাঠে বসে যারা খেলা দেখেছেন) যারা আছে, তারা অনেক সমর্থন করেছেন।’

    বুধবার দুজনই ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেছেন। আফিফ ৯৩ ও মিরাজ ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন। মিরাজ জানালেন, আফিফের ব্যাটিং দেখেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন তিনি, “সত্যি কথা বলতে ওর (আফিফ) ব্যাটিং দেখে আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কারণ আমি প্রথম দিকে একটু নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু আফিফ আমাকে একটা কথা বলেছে যে, ‘মিরাজ ভাই আমরা বল ধরে ধরে খেলি, যা হবে পরে দেখা যাবে। কিন্তু আমরা যদি চিন্তা করি অনেক রান, তাহলে হবে না। আমরা শুধু একটা ওভার ব্যাটিং করি। একটা ওভার একটা রান, দুটো রান… এভাবে করে করে এগোলে তাহলে আমরা। ম্যাচ জিততে পারবো কি পারবো না সেটা পরের কথা। কিন্তু আমরা একটা জায়গা নিয়ে যেতে পারবো।”

    ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের স্বপ্ন একরকম শেষই হয়ে গিয়েছিল। তবু একটু একটু করে স্কোরবোর্ডের রান বাড়িয়ে দলকে রক্ষা করেন দুই তরুণ। হয়তো মিরাজ-আফিফরাই হাল ধরবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের!

    Comments

    comments

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১
    ১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
    ১৯২০২১২২২৩২৪২৫
    ২৬২৭২৮২৯৩০