- আজ সোমবার
- ৮ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২১শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২০শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১২ এপ্রিল ২০২২ | ৩:৫৯ অপরাহ্ণ
শরীয়তপুরের জাজিরার মোঃ শাকিল মাদবর (১৫) নামের এক শিক্ষার্থীকে হত্যার মামলায় শাকিব ওরফে বাবু ও ইমরান মোড়ল নামের দুই জনকে ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। এছাড়া এই মামলায় আরোও ৪ আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার ১১টায় শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আব্দুস সালাম খান এ আদেশ দেন।
মোঃ শাকিল মাদবর জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা হাজী কালাই মোড়ল কান্দির এলাকার সালাম মাদবরের বড় ছেলে। সে স্থানীয় অ্যাম্বিশন কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। ২০২০ সালের জুন মাসে মুক্তিপন না পেয়ে শাকিলকে হত্যা করে বালুচাপা দিয়ে রাখে অভিযুক্তরা।
মামলার অভিযোগ ও আইনজীবিরা জানায়, ২০২০ সালের ২৫ জুন বিকালে জাজিরা উপজেলার হাজী কালাই মোড়লের কান্দি গ্রামের শাকিল মাদবরকে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সাকিব মাদবর বাবু। পরে সাকিব মাদবর বাবু (২০), আক্তার মাদবর (২৬), সজিব মাঝি (২২), ইমরান মোড়ল (২০), মহসিন হাওলাদার (২৫) ও স্বপন সরদার (৪৫) অপহরণ করে উপজেলার মোসলেম ঢালীর কান্দি গ্রামের বারেক মৃধার বাড়ির পাশে আটকে রাখে। একপর্যায়ে শাকিলের চাচা শাহাজুল ইসলাম মাদবরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। অন্যদিকে শাকিলকে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। মুক্তিপণ না দেওয়ায় শাকিলকে হত্যা করে ওই গ্রামের বারেক মৃধার বাড়ির পাশের বালুর মাঠে, বালু মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে লাশ গুম করে রাখে। গ্রেপ্তার আসামি ইমরান মোড়লকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার তথ্য মতে শাকিলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন ওই ছাত্রের বাবা সালাম মাদবর। অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বাবু ও ইমরানকে গ্রেপ্তার করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ বলেন, শিশু শাকিল মাদবরের অপহরণ ও হত্যা মামলায় শাকিব ওরফে বাবু ও ইমরান মোড়ল নামের দুই আসামিকে ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। এই রায়ে আমরা আংশিকভাবে সন্তুষ্ট হয়েছি। এই মামলায় যারা খালাস পেয়েছে আমি বাদীপক্ষের সাথে কথা বলে এই মামলাটি উচ্চ আদালতে আপিল করব। এই মামলায় সকল আসামির সম্পৃক্ত রয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রয়েছে। তাই আমরা উচ্চ আদালতে যাব।