- আজ শনিবার
- ১০ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২৪শে মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২৩শে জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি
| ১০ জুলাই ২০২১ | ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ
গাজীপুরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণেই বৃদ্ধা জমিলা খাতুনকে (৬৭) প্রাক্তন পূত্রবধূ ও নাতিরা হত্যা করে। হত্যার প্রায় ছয় মাস পর এ রহস্য উন্মোচন করেছে গাজীপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এই ঘটনায় নিহতের নাসিমা আক্তার লিলি (৪৫) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নাসিমা আক্তার লিলি নিহতের পূত্র আশরাফুজ্জামান সেলিমের সাবেক স্ত্রী এবং গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া পাছরের তারগাছ এলাকার স্থানীয় আকবর আলীর মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে জমিলা খাতুনের বড় ছেলে আশরাফুজ্জামান সেলিমের সঙ্গে নাসিমা আক্তার লিলির তালাক হয়। এর আগে নিহতের স্বামী আশকর আলী জীবিত থাকা অবস্থায় লিলির দুই সন্তানের নামে একটি পাঁচ তলা ভবন দানপত্র করেন।
ওই দানপত্র দলিলে আমমোক্তারনামায় দুই সন্তানের বাবা আশরাফুজ্জামান সেলিমের নামও ছিল। আশরাফুজ্জামান সেলিম ২০১৯ সালে ভবনটি তার মা জমিলা খাতুনের নামে সাব কবলা দলিল করে দেন।
এরপর থেকে নিহত জমিলা খাতুন এবং তার ছেলে-মেয়েরা নাসিমা আক্তার লিলিসহ তার দুই সন্তানকে ওই বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করে।
চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি জমিলা খাতুন ভবনের এক ভাড়াটিয়াকে মারধর করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইছেলে সঙ্গে নিয়ে পুত্রবধূ নাসিমা আক্তার শাশুড়ি জমিলা খাতুনকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে দেন। এতে তিনি মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর আঘাত পান। পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় জমিলা খাতুন।
এ ঘটনায় জমিলা খাতুনের ছোট ছেলে শহীদুজ্জামান সুমন গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাজীপুর জেলা পুলিশ পরিদর্শক (পিবিআই) হাফিজুর রহমান বলেন, পিবিআইয়ের কাছে নাসিমা আক্তার লিলি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।