- আজ বৃহস্পতিবার
- ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ১৫ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৪ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১৮ জানুয়ারি ২০২২ | ৪:৪৩ অপরাহ্ণ
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করার কথা প্রাথমিকভাবে তাঁর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিনেত্রী শিমুর লাশ গুম করতে তাঁর স্বামীকে বন্ধু (স্বামীর) ফরহাদ সহায়তা করেছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার। পুলিশ বলছে, দাম্পত্য কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
এসপি মারুফ বলেন, এই ঘটনার পর আমরা শিমুর স্বামী নোবেল ও বন্ধু ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতা প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জেলার পুলিশ সুপার বলেন, নায়িকা শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার আগেই জড়িতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। সেই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে মরদেহ লুকানোর কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন আলামত।
হত্যার মোটিভ কী ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড। তদন্তের স্বার্থে এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না। তার স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করে প্রাথমিকভাবে বলেছে দাম্পত্য কলহের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যার পর মৃতদেহ লুকিয়ে নিখোঁজ নাটক সাজাতে চেয়েছিলো তারা
এর আগে মঙ্গলবার সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বলেছিলেন, শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার গাড়িচালক ফরহাদকে আটক করার পর র্যাব তাদের নিয়ে গেছে। র্যাব-পুলিশ মিলে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় শিমুর বোন মনিশা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পর দিন সোমবার কেরানীগঞ্জ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার বোনজামাই নোবেল প্রায়ই শিমুকে মারধর করতেন। তিনি মাদকাসক্ত।