• আজ মঙ্গলবার
    • ২৮শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ১২ই আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ১৫ই সফর ১৪৪৭ হিজরি

    শুল্কমুল্য বৃদ্ধির কারনে বেনাপোল বন্দরে মাছ আমদানি বন্ধ

    শুল্কমুল্য বৃদ্ধির কারনে বেনাপোল বন্দরে মাছ আমদানি বন্ধ

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ৬:৫৮ অপরাহ্ণ

    নানা জটিলতার কারনে গতকাল থেকে সম্পুর্নভাবে বেনাপোল বন্দরে বন্ধ হয়ে গেছে ভারতীয় মাছের আমদানি।আমদানিকৃত মাছের উপরে নতুন করে আমদানি মুল্য নির্ধারন ও শুল্ককর আরোপ করায় আমদানিকারকরা মাছ আমদানি বন্ধ রেখেছে।

    আমদানিকারকদের অভিযোগ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে দেড়গুণ মুল্য বৃদ্ধি করে শুল্ক আদায় ও নতুন শর্ত আরোপ করায় বেনাপোল দিয়ে গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থ বছরে মাছের আমদানি ৫০ শতাংশ কমে গেছে। মাছ আমদানি বন্ধের ফলে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কাস্টমস হাউস। গত রবিবার থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরে কোন মাছের গাড়ি বা ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৬ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের মাছ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতো। সরকার এ খাত থেকে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় করতো।

    আমদানি কারকরা জানিয়েছেন সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে সামুদ্রিক মাছ প্রতি কেজি ০.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে শুল্কায়নের নির্দেশনা থাকলেও কাস্টমস পচনশীল মাছের শুল্কায়ন মুল্য পূনরায় নির্ধারন করেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ০.৭৫ সেন্ট দরে শুল্কায়ন করছেন। যার ফলে প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ২০ টাকা বেশি রাজস্ব প্রদান করতে হচ্ছে। ফলে প্রতিটি পণ্য চালানে কয়েক লাখ টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব প্রদান করতে হচ্ছে। তবে মিঠা পানির মাছের ক্ষেত্রে আমদানিকৃত মাছের দাম বাড়ানো হয়নি। প্রতি কেজি মিঠা পানির মাছ ১.৫০ মার্কিন ডলার দরে যথারীতি শুল্কায়ন হচ্ছে। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নতুন করে শর্ত আরোপ করে বলেছে প্রতিটা আমিনিকৃত পণ্যচালানে ৮০ ভাগ মিঠাপানির সাথে ২০ শতাংশ সামুদ্রিক মাছ আমদানি করতে হবে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ আমদানি কারকরা। তাদের দাবি কাস্টম কর্তৃপক্ষের বেধে দেয়া সিদ্ধান্তে মাছ আমদানি করা হলে তাদেরকে প্রতি ট্রাকে মোটা অংকের অর্থ লোকসান দিতে হবে।

    আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার সাজ্জাদ ইন্টারপ্রাইজের মালিক নাসির উদ্দিন বলেন, অতিরিক্ত শুল্ক ও অযৌক্তিক শর্তের কারণে আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। পূর্বের তুলনায় আমদানি খরচ বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। কাস্টমস কর্তৃর্পক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে না এলে আমরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে মাছ আমদানি করবো না। বেনাপোল কাস্টমস সুত্রে জানাগেছে, গত ২০২৩- ২৪ অর্থবছরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মাছ আমদানি হয় ৪৩ লক্ষ ৪৯৩ মেট্রিক টন। ২০২৪ -২০২৫ অর্থবছরে মাছ আমদানি হয়েছে মাত্র ১৭ হাজার ১১৮ মেট্রিক।

    বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মির্জা রাফেজা সুলতানা বলেন, মাছ আমদানিতে বাধা নেই মিঠাপানির মাছের গাড়িতে আমদানি করতে হবে আশি শতাংশ ও সামুদ্রিক মাছ আমদানি করতে হবে বিশ শতাংশ। মাছ আমদানি কারকরা যে ঘোষণা দিয়ে মাছ আনতে চাচ্ছে তা শৃংখলা ভেঙে পড়বে। গত ৬ মাসের পণ্যচালান তদারকিতে তথ্যের গড়মিল পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে কিছু অনিয়ম হয়েছে। এ সমস্ত আমদানিকারককে জরিমানা আরোপ করা হয়েছে ।বৈধ আমদানিকারকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

    Comments

    comments

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫
    ১৬১৭১৮১৯২০২১২২
    ২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
    ৩০৩১