- আজ বুধবার
- ২৬শে চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- ৯ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ৯ই শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
আগেই সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল। শেষ ম্যাচ ছিল আনুষ্ঠানিকতার। একাদশে চার পরিবর্তন আনে স্বাগতিকরা। সাকিব, মোস্তাফিজ, সাইফউদ্দিন ও মেহেদীর পরিবর্তে মাঠে নামেন তাসকিন, শরিফুল, শামীম ও সৌম্য। তবে ব্যর্থ হন তারা। এতে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টাইগারদের।সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ২৭ রানে হেরেছে তারা। এতে ব্যবধান দাঁড়ালো ৩-২।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৬ রানে ফিরে যান গোটা সিরিজে রানখরায় ভোগা লিটন দাস। এরপর দ্রুত ফেরেন সৌম্য সরকার। ভালো খেললেও স্থায়ী হতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম। তিনি আসেন ৩২ করে। এরপর যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন মুশফিকুর রহিম। রবীন্দ্রর শিকার হন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। দুজনের জুটিটাও জমে ওঠে বেশ। একে অপরে বাউন্ডারি মারার প্রতিযোগিতায় মাতেন। তাতে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। তবে ২১ বলে ২৩ রান করে মাহমুদউল্লাহ ফিরলেই তা উবে যায়। স্কট কুগেলাইনের বলে আউট হন তিনি।
যদিও একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যান আফিফ। তবে তাকে সমর্থন জোগাতে পারেননি কেউ।
শুক্রবার মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম। সূচনাতে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেটে দলকে ৫৮ রান এনে দেন দুই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও ফিন অ্যালেন।
রবীন্দ্রকে ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন শরিফুল ইসলাম। তার সঙ্গী ত্রাস ছড়ানো ফিন অ্যালেনকেও স্থায়ী হতে দেননি তিনি। তাকে (৪১) বোল্ড করে ফেরান বাঁহাতি পেসার। এতে সফরকারীদের রান তোলার গতি কমে। সেই সুযোগে উইল ইয়াংকে তুলে নেন আফিফ হোসেন। এ অবস্থায় কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে সাজঘরে পাঠান নাসুম আহমেদ।
মাত্র ২৫ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে হেনরি নিকোলসকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন টম লাথাম। ভালো সঙ্গও পাচ্ছিলেন।তবে নিকোলসকে (২১) ফিরিয়ে সেই প্রতিরোধ ভাঙেন তাসকিন আহমেদ।
কিন্তু একপ্রান্ত আগলে থেকে যান লাথাম। কোল ম্যাককনকিকে নিয়ে বড় স্কোর গড়ার চেষ্টা করেন তিনি। তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ফিফটি । তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬১ রানের স্কোর গড়ে নিউজিল্যান্ড। ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৭ বলে ৫০ করে অপরাজিত থাকেন লাথাম। আর ম্যাককনকি থাকেন ১৭ রানে। বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল নেন ২ উইকেট।