- আজ রবিবার
- ৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৪ ডিসেম্বর ২০২১ | ২:২৬ অপরাহ্ণ
‘সাংবিধানিকভাবেই দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনকালে গণতন্ত্র মুক্তি পাক বলে দেশের মানুষ শ্লোগান দিতে পেরেছে। দেশের মানুষ এখন কি স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক শ্লোগান দিতে পারে? এ থেকেই বোঝা যায় দেশের মানুষ কতটা গণতন্ত্র উপভোগ করতে পারছেন।’
গতকাল শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে গাজীপুর মহানগর জাপার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গাজীপুর মহানগর জাপার আহ্বায়ক এম এম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক নেতাই জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগে আর জায়গা নেই, এত নেতাকর্মীর সংকুলান হচ্ছে না দলটিতে। কেউ ইচ্ছে করলেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারছে না। বিএনপির অবস্থা হতাশাব্যঞ্জক। দলটিতে চরম নেতৃত্ব সংকট চলছে। মানুষ বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। দেশপ্রেমিক ও আদর্শবান মানুষের সামনে জাতীয় পার্টি হচ্ছে একমাত্র রাজনীতির বিকল্প শক্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। তারা আবারও জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।’
‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। একসময় ব্রিটিশরা বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল, তারপর বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল পশ্চিম পাকিস্তান। কিন্তু এখন দুটি দল মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি না করলে কেউ চাকরি পায় না, ক্ষমতাসীন দল না করলে ব্যবসা করতে পারে না কেউ।’
দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিদেশি সূত্রে জানতে পারছি টাকা পাচারের খবর। দেশের কোনো সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করছে না। আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা চাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই নির্বাচনী ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই দেশের মানুষ গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।’
গাজীপুর মহানগর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, আব্দুস সাত্তার মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মিসেস শেরীফা কাদের।
