• আজ বৃহস্পতিবার
    • ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ১৫ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ১৪ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি

    সন্ধ্যার পর কোনোভাবেই নদী থেকে বালু তোলা যাবে না: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২০ জানুয়ারি ২০২২ | ১:০৮ অপরাহ্ণ

    ‘সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই বালু উত্তোলন করতে হবে। সন্ধ্যার পর কোনোভাবেই নদী থেকে বালু তোলা যাবে না।’

    জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) এমন নির্দেশনা দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম।

    বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক সম্মলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দেন। এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে ডিসিদের নির্দেশ দেন।

    পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নদীমাতৃক এই দেশে ৪০৫টি নদী প্রবাহমান। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষা মৌসুমে অধিক পানি থাকে। শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে যায়। খনন করে নদীর নাব্যতা রক্ষার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় লক্ষ্য করেছে যে, অবৈধ বালু উত্তোলনের হিড়িক পড়েছে। এটা বন্ধ করতে না পারলে সমস্যা প্রকট হবে।’

    তিনি বলেন, ‘ডিসিদের বলেছি, নদীর তীরে লোহা দিয়ে দেয়াল করে দিলেও তীর রক্ষা করতে পারবো না। খননের একটা নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে, যেটা মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। সেখানে আমরা বলেছি, বালু উত্তোলনের সময়টা সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে করতে হবে। সন্ধ্যার পর কোনোভাবেই বালু তোলা যাবে না।’

    প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু রাখতে, বালু তোলার প্রয়োজন আছে। তবে যত্রতত্র বালু উত্তোলন চলবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশলীরা বালুমহল চিহ্নিত করবেন। সেখানে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তোলা যাবে।’

    তিনি আরও বলেন, বাঁধের ওপর ঘর-বাড়ি থাকে। ঘর-বাড়ি করলে, রান্নাবান্না করলে বাঁধে ইঁদুরের বাসা হয়। ইঁদুর বাসা করলে বাঁধ দুর্বল হয়ে যায়, যা বাইরে থেকে বুঝা যায় না। তখন বর্ষায় প্রবল স্রোতে বাঁধ ভেঙে যায়।’

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কাজ করেছে। কিন্তু কাজটা সঠিক হয়নি। আসলে ইঁদুরের বাসার জন্য বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্থান নির্ধারণ করার সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করে উঁচু স্থান নির্ধারণ করার কথা ডিসিদের বলা হয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘উপকূলের বাঁধ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ সহায়তা ও সরকারি বরাদ্দে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। কাজগুলো শেষ হলে আগামী ৭-৮ বছর পর সহনীয় একটি পর্যায়ে আসবে।’

    Comments

    comments

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫১৬
    ১৭১৮১৯২০২১২২২৩
    ২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
    ৩১