• আজ বুধবার
    • ৪ঠা আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ১৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ২০শে জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

    সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উন্নয়নের নামে গাছ কাটা কতটা যৌক্তিক?

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ০৮ মে ২০২১ | ৮:৪১ অপরাহ্ণ

    সাংস্কৃতিক বলয় তৈরির নামে বন্ধ করা হয়েছিল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিল্প-সাহিত্য চর্চা। এখন নতুন বিতর্ক খাবার দোকান-শৌচাগার বা হাঁটারপথ তৈরির নামে গাছ কাটা। প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের নকশাকারের দাবি, গাছগুলো অপরিকল্পিতভাবে ছিল। তাই কেটে-কুটে পরে ফুল গাছ লাগানো হবে। একে অযৌক্তিক ও অন্যায় বলছেন, জেষ্ঠ্য স্থপতি, শিল্পী, পরিবেশবিদসহ সচেতন নাগরিকরা।

    এ ময়দানে বিট্রিশদের চালু ঘোড়দৌড় ১৯৪৯ এ বন্ধ হয় নাযায়েজ অপবাদে। পরে হতো রাজনৈতিক সমাবেশ। এখানেই বঙ্গদেশ বন্ধু পায়, স্বাধীনতার ঘোষণা হয়, পাকিস্তান পরাজয় মেনে নেয়। ৭২ এ সরকারি উদ্যোগে শুরু হয় সবুজায়ন। ৯৮ এ নেয়া হয় স্বাধীনতার স্মৃতি স্মারক প্রকল্প। গাছ বাঁচাতে নকশা হয় সাদামাটা। জাদুঘরও হয় পাতালে।

    সাংস্কৃতিক বলয় গড়ার অযুহাতে ২০১৩ সালের দিকে বন্ধ হয়, উদ্যানের ছবির হাঁটের সংস্কৃতি চর্চা। আর এখন উন্নয়নের নামে ধ্বংস হচ্ছে ভুবনচিলের আবাস, গগনশীরিষ কাটা গেছে কয়েকটি। পাখির বাসাসহ বহু কাটাগাছ উদ্যান জুড়ে।

    নকশায় আছে ৭টি শৌচাগারসহ খাবারের দোকান। আর আঁকানো-বাঁকানো নানা হাঁটাপথ। ৮০ একরের পুরো উদ্যান জুড়ে গিজগিজে রাস্তা বানাতেই কাটা হচ্ছে গাছ। পুরো নকশা বাস্তবায়নে প্রায় সব গাছই কাটা পড়বে।

    থ্রিডি ভার্সনেও আছে, প্রকৃতির স্বাভাবিকতার বদলে কংক্রিটের আদল গড়ার নানান বাহার। বাস্তবের কাজও এগুচ্ছে সেভাবে। কত গাছ কাটা পড়বে আর কতটা থাকবে তা নিশ্চিত নন নকশাকারও।

    স্যাটেলাইটের ২০০৪ সালের ছবিতে যতটা সবুজ দেখা যায়, ১৬ সালের ইমেজে তার অনেকটাই নেই। এবছরের ইমেজে অনেকটাই ন্যাড়া মনে হয় উদ্যানকে। উন্নয়নের নামে এই ধ্বংসলীলা কতটা যৌক্তিক?

    Comments

    comments

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩
    ১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
    ২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
    ২৮২৯৩০