- আজ সোমবার
- ৮ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
- ২১শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
- ২০শে শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরি
গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ২০ জুন ২০২২ | ৪:০৭ অপরাহ্ণ
মুশফিকুর রহিম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে থাকলে অ্যান্টিগা টেস্টে নিশ্চিতভাবেই খেলা হতো না নুরুল হাসান সোহানের। একাদশে তার জায়গা হতো না হয়তো ইয়াসির আলি চৌধুরি ফিট থাকলেও। অনেক সমীকরণে পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগিয়ে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াকু এক ইনিংস খেললেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। ইনিংসটি দেখে মুগ্ধ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এখন সোহানকেই উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করালেন অন্যদের সামনে।
চার বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এই অ্যান্টিগাতেই বাংলাদেশের ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সোহান। তবে পরের টেস্টে জ্যামাইকায় আউট হন দুই ইনিংসেই শূন্য রানে। এরপর আবার টেস্ট খেলার জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয় সাড়ে তিন বছর। গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে হুট করেই সুযোগটা আসে তার। চতুর্থ দিনে ইয়াসিরের কনকাশন সাব হিসেবে নেমে করেন ১৫ রান। এরপর গত জানুয়ারিতে ক্রাইস্টচার্চে দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের টেস্টে দুই ইনিংসে করেন ৪১ ও ৩৬ রান।
অ্যান্টিগায় এবারের এই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভালো ব্যাট করতে পারেননি তিনি। দলের যে ৬ ব্যাটসম্যান আউট হন শূন্য রানে, সোহান ছিলেন তাদেরই একজন। দ্বিতীয় ইনিংসে যখন তিনি ব্যাটিংয়ে নামেন, দল তখন ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায়। সেখান থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক সাকিবের সঙ্গে। ম্যাচের একমাত্র শতরানের জুটি উপহার দেন এই দুজন। ইনিংসের সহজাত আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সঙ্গে আপোস করে লম্বা ইনিংস খেলায় মন দেন সোহান। শেষ পর্যন্ত আউট হন ১৪৭ বলে ৬৪ রান করে। স্পর্শ করেন নিজের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস, এই ম্যাচে যা দলেরও সর্বোচ্চ।
সোহানের ইনিংসের প্রায় সবটুকু উইকেটে থেকে দেখেছেন সাকিব। অধিনায়কের ভালো লেগেছে চাপের মধ্যে এই কিপার-ব্যাটসম্যানের লড়িয়ে মানসিকতা। তিনি বলেন, সোহানের ওই ইনিংস থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। নুরুল সত্যিই খুব ভালো খেলেছে। সে নিজেও চাপে ছিল। বলব না যে সে চাপে ছিল না। চাপে ছিল সে। তার পরও সে যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছে, এতেও ফুটে ওঠে তার মানসিকতা যে তার সামর্থ্য কতটা। যে চ্যালেঞ্জ নুরুল নিয়েছে, অন্য কয়েকজন ব্যাটসম্যান একইভাবে চ্যালেঞ্জ নিয়ে পরের ম্যাচে যেন ভালো খেলতে পারে।