• আজ বুধবার
    • ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • ১৪ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
    • ১৩ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি

    স্বাধীনতা পেয়েছি, এখন অর্থনৈতিক মুক্তি চাই: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

    গাজীপুর টিভি ডেস্ক | ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ | ১২:০২ অপরাহ্ণ

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, এখন চাই অর্থনৈতিক মুক্তি। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা অনেক কিছুতেই এগিয়েছি, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। এর কারণ, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনা মিলে মাত্র ২১ বছর দেশ শাসনের সুযোগ পেয়েছেন। আর বাকি ২৯ বছর দেশটাকে অন্যেরা খেয়েছে। সেই জায়গা থেকে চাইলেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব না। এর শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে।’

    স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে গতকাল বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনের মিলনায়তনে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মােহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।

    মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘জাতি দেখুক, আওয়ামী লীগের বাইরে বাকি যারা ২৯ বছর দেশ শাসন করেছে, তারা কী করেছে। আর আমরা কী করেছি। এ হিসাব করলেই বুঝা যাবে, দেশ প্রতিষ্ঠিত হোক এটা তারা চায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ বার আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন। কিন্তু অন্য যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কিছুই আনতে পারেনি। তারা বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন বিরোধীদলে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা বলেছিলেন কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য। কিন্তু তখন খালেদা জিয়া ও তার অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা যদি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হই, তাহলে বিশ্ব থেকে সহযোগিতা পাবো না। অথচ একটা সময় যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলেছিল, আজকে সেই দেশের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজেই কেনিয়া গিয়ে বলেছে তোমরা বাংলাদেশকে দেখো। তারা কীভাবে উন্নয়ন করে।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কথা সারা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে আমাদের একট পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটা পারিনি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বিশ্বনেতা। দেশ যখন যুদ্ধবিদ্ধস্ত তখন তিনি জাতিসংঘে গিয়ে বিশ্বনেতাদের সামনে হাত না পেতে মাথা উঁচু করে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত, এক শাসক ও দুই শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’ অনেকেই বলেন, বঙ্গবন্ধু তো চাইলেই ৭ তারিখ স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারতেন। কিন্তু যে যতো বড় দায়িত্বে থাকেন তার ততো হিসাব করে কথা বলতে হয়। ওই সময়ে যদি তিনি ঘোষণা দিতেন, তাহলে বিশ্ব নেতারা বলতো, এটা বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্দোলন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি দেখলেন বিশ্ব জনমত আমাদের পক্ষে কিনা। যখন আমাদের পক্ষে আসলো তখনই আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। তখন বিশ্ব আমাদের পক্ষে ছিল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বিশ্ব নেতা। তাই তার চিন্তাও ছিল বৈশ্বিক।’

    অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের কর্মকর্তারা। এছাড়া জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেন ও শুভ্রদেব গান গেয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। পাশাপাশি শিল্পকলা একাডেমির নাচের দল স্পন্দন নৃত্য পরিবেশন করে।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিএজি মাসুদ আহমেদ, সিজিএ নুরুল ইসলাম, ডিসিএজি (সিনিয়র) মো. মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত সচিব দেওয়ান সাইদুল হাসান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র অর্থ নিয়ন্ত্রক (প্রতিরক্ষা ক্রয়) ডা. তানজিনা ইসলামসহ অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

    Comments

    comments

    আর্কাইভ

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫১৬
    ১৭১৮১৯২০২১২২২৩
    ২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
    ৩১